সুব্রত বিশ্বাস: বেলুড় থেকে লিলুয়া দুই কিলোমিটার দূরত্বে দিন কয়েকের মধ্যে তিন করোনা আক্রান্ত ও বেশ কয়েকজন মানুষকে কোয়ারন্টাইনে পাঠানোর পরও বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা বাড়েনি বলে উঠছে অভিযোগ। প্রথমে বেলুড় ষষ্ঠীতলায় এক পরিচারক, পরে প্রায় একই সময়ে বেলুড় পাঠকপাড়া এলাকায় এক নার্স ও লিলুয়া চকপাড়ায় এক হোসিয়ারি কর্মীর শরীরে নোভেল করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। কারুরই বিদেশ যোগের সূত্র পাওয়া যায়নি। ফলে এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশাসন। এলাকার বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যোগসূত্র না পাওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এলাকা স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি মানুষজনকে সতর্ক করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্রের বদলে তৈরি হবে জীবনদায়ী ভেন্টিলেটর, নয়া দিশা দেখাচ্ছে বনহুগলির কারখানা]
সরকারিভাবে সতর্কতা জারি হলেও বহু মানুষ অসতর্ক বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। নিশ্চিন্দা, বালি, বেলুড় থানা এলাকার বেশ কিছু অঞ্চলে এখনও মানুষ অকারণে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিধিনিষেধ সত্বেও চা থেকে মনিহারি দ্রব্যের দোকান খোলা হচ্ছে। জমিয়ে আড্ডামারা চলছে। আইন জারি সত্বেও মাস্ক পড়ছেন না বহু মানুষ। অভিযোগকারীদের কথায়, ‘আমরা ঘরে থেকেও কিছু মানুষের গাফিলতির জন্য মরতে হবে।’ বেশ কয়েক জায়গায় সারাদিন জুয়ার ঠেক চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুলিশ ও দলীয় দায়িত্বশীলদের মানুষজনকে সতর্ক করতে বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাইকে সতর্কবার্তা প্রচারের পাশাপাশি এলাকায় গিয়ে পুলিশ সতর্ক করছে। এর পরেও মানুষ অবুঝ হলে দায় সামলাতে হবে তাদেরই। এদিকে হাওড়া সিটি পুলিশ জানিয়েছে, বাজারের ভিড় এড়াতে সবজি নিয়ে বাড়ির সামনে যাবে ফেরিওয়ালা। এদিকে বহু বাজার রয়েছে ঘিঞ্জি এলাকায়। সেগুলিকে রাস্তা বা মাঠে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মানুষজন বলেন, এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে। ডোমজুর যুব তৃণমূলের সম্পাদক জয় শীল বলেন, মানুষকে সতর্ক করতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে রাত জেগে চলছে সতর্কবার্তা লিখনের কাজ।
[আরও পড়ুন: লকডাউনের জেরে বাজারে অমিল বাংলা ক্যালেন্ডার, নির্ঘণ্ট দেখতে মোবাইলেই ভরসা বাঙালির]
The post লকডাউন উপেক্ষা করে হাওড়ার একাধিক জায়গায় ভিড়, পরিস্থিতি সামলাতে প্রচার পুলিশের appeared first on Sangbad Pratidin.
