ধীমান রায়, কাটোয়া: করোনা ভাইরাসের হাত থেকে দেশবাসীদের রক্ষা করতে মঙ্গলবার রাত বারোটা থেকে সারা দেশজুড়ে লকডাউন জারির ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দেশবাসীর কাজে আবেদন জানিয়েছেন যাতে দেশের প্রত্যেকটি পরিবার তাদের বাড়ির দরজায় লক্ষ্মণরেখা দিয়ে রাখেন। সকলেই যেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন লক্ষ্মণরেখা পার না হওয়ার বা বাইরের কাউকেই লক্ষ্মণরেখা টপকে ভিতরে আসতে না দেওয়ার।
তবে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পরেই পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার হামিরপুর গ্রামের বাসিন্দারা তাদের গ্রামের রাস্তার মুখেই দিয়ে রেখেছেন লক্ষ্মণরেখা। রাস্তায় বাঁশ পুতে রেখে আটকে দিয়ে রাস্তা। পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের গ্রামের যারা ভিনরাজ্যে কাজ করেন তাদের গ্রামে এইসময় ঢুকতে দেওয়া হবে না। যাতে কেউ লুকিয়ে ঢুকতে না পারেন তা নজর রাখতে পালা করে পাহারাও দিচ্ছেন গ্রামের যুবকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হামিরপুর গ্রামের প্রায় ২০-২২ জন ভিনরাজ্যে কাজ করেন। তাদের অধিকাংশই এখনও বাড়িতে ফিরতে পারেননি। স্থানীয়রা খবর পেয়েছেন ওই যুবকরা গ্রামে ফেরার চেষ্টা করছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকেই হামিরপুর গ্রামের বাসিন্দারা করোনা আতঙ্কে গ্রামের রাস্তার মুখে বাঁশ পুঁতে রীতিমতো চেকপোস্ট তৈরি করে ফেলেছে।
হামিরপুর গ্রামের বাসিন্দা নির্মল ঘোষ, নিশীথ ঘোষদের কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যেন প্রত্যেকের বাড়ির বাইরে ২১ দিন লক্ষ্মণরেখা দিয়ে রাখা হয়। তাই আমরাও ঠিক করেছি আমরা যেমন গ্রামের বাইরে বের হব না, তেমনই যারা এখন ভিনরাজ্যে থেকে আসছেন তাদের ঢুকতে দেব না।’ তবে গ্রামবাসীদের দাবি যদি কেউ সুস্থ শরীরে ফিরে আসেন তাদের করোনামুক্ত ডাক্তারf সার্টিফিকেট দেখালে তবে একমাত্র তাদেরই গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে।
ছবি: জয়ন্ত দাস
The post দেশজুড়ে লকডাউন, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষ্মণরেখা টানলেন গ্রামবাসীরা appeared first on Sangbad Pratidin.
