সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ঠাসা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বাংলা ও সিকিমের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার দরুন সেই সফরসূচিতে কাটছাঁট করতে হয়েছে। কী কী বদল এসেছে প্রধানমন্ত্রীর সফরে?
বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সিকিমের সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মোদির। সিকিমের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের স্বীকৃতি পাওয়ার ৫০ বছরের পূর্তি উপলক্ষে সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় মোদির সিকিম যাওয়া হচ্ছে না।সূত্রের খবর, বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ভারচুয়ালি সিকিমের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। কথা ছিল, সকাল ৮টা ৫ মিনিটে দিল্লি এয়ারপোর্ট থেকে বিমানে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি। ১০টায় বাগডোগরা এয়ারপোর্টে পৌঁছবেন। সেখান থেকে এম আই-১৭ হেলিকপ্টারে ১০ টা ৫ মিনিটে সিকিমের গ্যাংটকের উদ্দেশে উড়ে যাবেন। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় তা হল না। তবে আলিপুরদুয়ারের কর্মসূচিতে কোনও বদল হচ্ছে না।
অপারেশন সিঁদুরের পরে আজ বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের জন্য সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (সিজিডি) প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। ১ হাজার ১০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই লক্ষেরও বেশি পরিবার, ১০০-রও বেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানায় পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস (পিএনজি) সরবরাহ করা হবে। ১৯টি সিএনজি স্টেশন স্থাপন করা হবে। সেখানে আরেকটি মঞ্চ থাকছে। এই মঞ্চে বিজেপির নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা থাকবেন। সেখানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল পৌনে চারটে পর্যন্ত এই মঞ্চে থাকার কথা তাঁর। এর পর হেলিকপ্টারে হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনির উদ্দেশে রওনা দেবেন। হাসিমারা বায়ু সেনা ছাউনি থেকে বিকেল ৪টে ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান পাটনা এয়ার পোর্টের উদ্দেশ্যে উড়ে যাবে। সাড়ে পাঁচটায় প্রধান মন্ত্রীর বিমান পাটনা এয়ারপোর্টে পৌঁছনোর কথ। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় মনে করা হচ্ছে, হেলিকপ্টারের বদলে সড়কপথে হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে যাবেন মোদি।
এই সভা উপলক্ষে যানজট এড়াতে শহরে ভিআইপি গাড়ি ছাড়া কোনও গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ,সাতটা পর্যন্ত শহরের রাস্তায় টোটো চালানোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। শহরের সব বেসরকারি স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে। শহরের রাস্তার উপরে কোন হকার বসতে পারবে না।
এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দার্জিলিঙের স্পেশাল ‘দার্জিলিং চা' তো থাকছেই। সেই সঙ্গে পাতে দেওয়া হবে মালদহের মিষ্টি ‘হিমসাগর’আম । এপ্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি মিঠু দাস বলেন, “২০১৬ সালেও আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেছিলাম। এবারও গুজরাটি তাওয়া রুটি, ডাল , সবজি ও স্যালাড রাখা হবে। প্রায় দেড় ঘণ্টা প্যারেড গ্রাউন্ড মাঠে থাকবেন তিনি। দুবার দার্জিলিং চা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মালদা থেকে হিমসাগর আম আনা হয়েছে। সুযোগ পেলে তা কেটে প্রধানমন্ত্রীর পাতে দেওয়া হবে। প্যারেড গ্রাউন্ডে মঞ্চের পাশেই গ্রিনরুমে এই ব্যবস্থা রাখছি আমরা।” উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে কাঠের তৈরি একশৃঙ্গ গন্ডার ও হাতি।
