দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার পোলবার পুলকার দুর্ঘটনাগ্রস্ত চালক পবিত্র দাস। বুধবারই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিন দুপুরে ওই চালককে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়েছে। পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। ধৃত ওই চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চুঁচুড়ার একটি স্কুলের অন্তত পনেরোজন ছাত্রছাত্রী শেখ সামিম নামে এক ব্যক্তির পুলকারে চড়ে। বৈদ্যবাটির কাছে বদলায় চালক। তারপরই প্রচণ্ড গতিতে দিল্লি রোড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় পোলবার কামদেবপুরে পুলকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় দু’শো ফুট দূরের একটি নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। তাতেই গুরুতর জখম হন চালক এবং ছাত্রছাত্রী-সহ পুলকারে থাকা প্রায় প্রত্যেকে। জখমদের উদ্ধার করে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ঋষভ এবং দিব্যাংশু নামে দুই ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাই গ্রিন করিডরের মাধ্যমে তাদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে আটদিন ধরে চিকিৎসা চলার পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি এসএসকেএমে মৃত্যু হয় ছোট্ট ঋষভের। হাসপাতালে ভরতি থাকলেও এখন সামান্য সুস্থ হয়েছে দিব্যাংশু। জেনারেল বেডেই আপাতত চিকিৎসাধীন খুদে।
[আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় ফাঁকা বাড়িতে ছাগলকে লাগাতার ধর্ষণ, গণপিটুনিতে জখম অভিযুক্ত]
ঋষভের মৃত্যুর ঠিক আগেরদিনই শেখ সামিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলকার দুর্ঘটনায় জখম ঋষভের মৃত্যুর পর তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়। সুস্থ হওয়ার পরই গ্রেপ্তার করা হয় পুলকারের আরেক চালক পবিত্র দাসকেও। তাকে বুধবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পবিত্র এবং শামিমকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে পুলকার দুর্ঘটনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া সম্ভব বলেই আশা তদন্তকারীদের।
এদিকে, সন্তানের মৃত্যুর পর থেকে মানসিক যন্ত্রণায় খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন ঋষভের বাবা-মা। বড় ছেলেকে আঁকড়ে ধরে আবারও নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করছেন দু’জনেই। গত সোমবার ঋষভের বাবা সন্তোষ সিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সান্ত্বনাও দেন তিনি।
The post হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই গ্রেপ্তার পোলবার পুলকার চালক, রুজু অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা appeared first on Sangbad Pratidin.
