সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যোজাত বদলের অভিযোগ। দুর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ এক দম্পতি। অভিযোগ, বদলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের সন্তানকে। অবিলম্বে তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে না দিলে আত্মহত্যার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শিশুর মা।
জানা গিয়েছে, মহিলার নাম নার্গিস বানু। দুর্গাপুরের নইমনগরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তবে বিবাহ সূত্রে বর্তমানে থাকেন পাটনায়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দুর্গাপুরে বাপের বাড়িতে আসেন তিনি। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। ১০ জুলাই সেখানেই সন্তান জন্ম দেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ের পর সন্তানকে নিয়ে বাড়িতেও চলে আসেন তিনি। সন্তান জন্মের ২৬ দিন পর হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শিশুর মা। বলা হয়, বদলে দেওয়া হয়েছে বাচ্চা।
[আরও পড়ুন: ১২ বগি ট্রেন-সহ একাধিক দাবিতে অবরোধ, শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখায় ব্যাহত রেল চলাচল]
পরিবারের দাবি, জন্মের পর নাকি জানানো হয়েছিল শিশুর রক্তের গ্রুপ AB পজিটিভ। কিন্তু পরবর্তীতে হাসপাতালে থাকাকালীনই বদলে যায় শিশুর হাতে থাকা টোকেন। হাসপাতালে জানানো হলে তাঁরা বলেন, টোকেন বদলে গিয়েছে কোনওভাবে। কিন্তু তাতেও সন্দেহ যায়নি নার্গিস বানুর। পরে বাইরে থেকে সন্তানের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করলে দেখা যায় AB পজিটিভ নয়। শুধু তাই নয়, শিশুর উচ্চতাও পালটে গিয়েছে বলেই দাবি পরিবারের। এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। যদিও হাসপাতালের তরফে চিকিৎসক প্রবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। শিশুর রক্তের গ্রুপ ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত বদলাতে পারে। এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই।” গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
