shono
Advertisement

Breaking News

Maldah

চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালের বাইরে দেহ রেখে বিক্ষোভ মালদহে

পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ ঘটনাস্থলে যায়।
Published By: Suhrid DasPosted: 11:39 AM May 06, 2025Updated: 11:41 AM May 06, 2025

বাবুল হক, মালদহ: যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর প্রসূতির মৃত্যু। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে সামনে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। ওই বেসরকারি হাসপাতালের বাইরে মৃতদেহ রেখে সন্তানদের নিয়ে বিক্ষোভ চলতে থাকে। সোমবার রাতে ওই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় চাঁচল এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ ঘটনাস্থলে যায়। অনেক পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মৃতার নাম দীপিকা দাস (২৩), বাড়ি চাঁচল থানার কলিগ্রাম দক্ষিণপাড়ায়। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। সিজারের মাধ্যমে ওই তরুণী যমজ সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বাধ্য হয়ে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হলে রবিবার রাতে সেখানেই তিনি মারা যান।

সোমবার রাতে মালদহের চাঁচলে মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়। ওই হাসপাতালের বাইরে মৃতদেহ রেখে, সদ্যোজাতদের নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়। পরিবারের দাবি, কলকাতার চিকিৎসক বলেছেন, চিকিৎসায় খামতি থাকায় এই পরিণতি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে ওই হাসপাতালের দরজায় ভিতর থেকে তালা ঝুলিয়ে থাকেন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা। ফলে বিক্ষোভকারীরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে ওই বিক্ষোভ। ঘটনার কথা শুনে বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে যায়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে র‍্যাফও নামানো হয়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। চিকিৎসকদের গাফিলতি তুলে যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর প্রসূতির মৃত্যু।
  • চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে সামনে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
  • ওই বেসরকারি হাসপাতালের বাইরে মৃতদেহ রেখে সন্তানদের নিয়ে বিক্ষোভ চলতে থাকে।
Advertisement