সম্যক খান, মেদিনীপুর: মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ায় সরকারি হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ! আরও চারজন রোগিনী গুরুতর অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ভর্তি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। ঘটনার খবর পৌঁছেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরেও। হাসপাতালের কাছেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে খবর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসব বেদনা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ২১ বছর বয়সি মামনি রুই দাস। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা এলাকায়। বুধবার তাঁর অস্ত্রোপচার হলে এক সন্তানের জন্মও দিয়েছিলেন মামনি। সেদিন আরও বেশ কয়েক জনের অস্ত্রোপচার হয়। রোগীদের অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে স্যালাইনও দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার থেকে মামনি-সহ পাঁচজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
তাঁদের সকলকেই আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। আজ, শুক্রবার সকালে মারা যান মামনি রুই দাস। সেই কথা জানার পরেই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হাসপাতাল থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছে বলেই মামনি মারা গিয়েছেন। এমনই গুরুতর অভিযোগ তোলা হল সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আত্মীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার থেকেই মামনির বমি-সহ বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায়। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল। শুধু তাঁরই নয়, বাকিদের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।
মৃতার পরিবারের সঙ্গে অন্যান্যরাও তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শুক্রবার এই বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতালে। ঘটনার কথা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছেও গিয়েছে। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে জানতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ফোনও করা হয় বলে খবর। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে তদন্তের জন্য হাসপাতালের তরফে ১০ সদস্যের টিম গঠিত হয়েছে। সত্যিই কি মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল? তার জেরেই কি মামনির মৃত্যু? সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে।