বিক্রম রায়, কোচবিহার: কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পদে বদল। রবীন্দ্রনাথ ঘোষের জায়গায় নয়া সভাপতি হচ্ছেন মাথাভাঙার বিধায়ক ও বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। আর কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। বিকেলেই বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির দায়িত্ব নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সংঘর্ষ, বৃহস্পতিবার রাতে উত্তপ্ত বারাসত]
মালদহের দুটি আসন বাদে উত্তরবঙ্গের সবকটি আসন ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। কিন্তু, এবারের লোকসভা লোকসভা ভোটে একটি আসনেও জিততে পারেননি শাসকদলের প্রার্থীরা। বস্তুত, কোচবিহার থেকে এবার বিজেপি প্রার্থী হিসেবে যিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন, সেই নিশীথ প্রামাণিক একসময়ে তৃণমূলেরই যুবনেতা ছিলেন। এদিকে লোকসভা ভোটের পরই কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসগুলিও বিজেপি দখল করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দিন কয়েক আগে নিজের নির্বাচনী এলাকা নাটাবাড়িতে দলের কার্যালয় উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
শোনা যাচ্ছে, কোচবিহারে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছিল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের একাংশের। অভিযোগ উঠেছিল, কোচবিহারে লোকসভা ভোটের প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারীকে সেভাবে দেখা যায়নি। তাঁর হয়ে প্রচার করেছিলেন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষই। তাই দলের হারে স্বাভাবিকভাবে জেলা সভাপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এদিকে ভোটের ফল বেরনোর পরই দলের সংগঠনে বড়সড় রদবদল ঘটিয়েছে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রায়গঞ্জ, বালুরঘাট ও মালদহে দলের পরাজিত প্রার্থীদের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। তখন কিন্তু কোচবিহারের জেলা সভাপতি পদে কোনও বদল করা হয়নি। শেষপর্যন্ত অবশ্য পদ খোয়াতে হল মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে।
[আরও পড়ুন: বাজারে ইলিশ কই? জামাইষষ্ঠীতে ভরসা মণিপুরি পেংবাই]
The post লোকসভা ভোটে হারের জের, জেলা সভাপতির পদ খোয়ালেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ appeared first on Sangbad Pratidin.
