শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: মঠের চাঁদা সংগ্রহ করতে ভরদুপুরে গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে এক কিশোরীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল এক সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে! বিষয়টি জানাজানি হতেই মুহূর্তের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সন্ন্যাসীকে গণধোলাইও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা আশ্রমের গাড়ির কাচ ভাঙচুর করে একদল ক্ষিপ্র বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের অদূরে কাশীবাটি এলাকার ঘটনায় তুমূল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগের তির রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরের সমাজসেবী সংগঠনের এক স্বামীজির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, ওই স্বামীজি বাড়িতে চাঁদা নিতে গিয়েছিলেন। সে সয়ম বাড়িতে একা ছিল মেয়েটি। মা পরিচারিকার কাজে বাইরে ছিলেন। তবে তারপরও ওই স্বামীজি বাড়ির উঠোন থেকে মেয়েটিকে ঘরে বসার কথা বলেন। শেষপর্যন্ত মেয়েটি ভদ্রভাবে স্বামীজিকে নিয়ে ঘরে বসান। অভিযোগ এরপর কিশোরীকে নিজের কোলে বসার প্রস্তাব দেন স্বামীজি। আর এই ঘটনা ঘিরেই যাবতীয় অশান্তির সূত্রপাত। গ্রামের মহিলাদের বক্তব্য, মেয়েদের একা ঘরে রেখে কাজে যেতেই তো এখন ভয় লাগছে। কখন কি হয়ে যায়, বোঝার উপায় নেই।
[আরও পড়ুন: কলকাতার রাজপথে বাইকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রওনা হাসপাতালের উদ্দেশে]
এদিন দুপুরে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে দশম শ্রেণির ওই নাবালিকা ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, “বাড়িতে মেয়েকে একা রেখে কাজে বেরিয়েছিলাম। দুপুরে বাড়ি ফিরে জানতে পারি, আশ্রমের এক স্বামীজি চাঁদা নিতে বাড়িতে আসেন। তারপর ঘরে ঢুকে আমার মেয়ের সঙ্গে অসভ্যতা করেছেন। বাকিটা মুখে বলা যাবে না। ওই স্বামীজির শাস্তি চাই।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই প্রতিষ্ঠানের আরেক স্বামীজি অনির্বানন্দজি বলেন, “বাড়ি বাড়ি চাঁদা সংগ্রহের সময় আমাদের এক স্বামীজি এক মেয়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে বলে শুনেছি। অবশ্যই অভিযুক্তের শাস্তি হবে। সেইসঙ্গে আশ্রম থেকে এখনই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
তবে এরপর আর অভিযুক্ত স্বামীজির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই মঠের অধ্যক্ষ স্বামী নিরঞ্জনান্দজি বলেন, “কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে এই ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানান রায়গঞ্জ থানার আইসি সৌরভ সেন।
