সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে বিজেপি প্রার্থী। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আক্রমণের মুখে পড়েন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ও বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় কাঁকসা থানার পুলিশ। পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের।

[আরও পড়ুন: মেলায় আনন্দ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা, চলন্ত নাগরদোলা ও টয়ট্রেন ভেঙে জখম ১৪]
জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে হঠাৎই বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কাঁকসার মলানদিঘি গ্রামের একটি মন্দিরে কীর্তনের অনুষ্ঠান চলছিল। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ মলানদিঘিতে প্রচারে যান বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। অভিযোগ, প্রচারে গিয়ে আচমকাই ওই কীর্তনের অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়েন বিজেপি প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকেরা। অভিযোগ, কীর্তনের মাঝেই গায়কের হাতে প্রণামী ধরিয়ে দেন এক বিজেপি নেতা। তাঁর পাশেই ছিলেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। অভিযোগ, এরপর গায়কের হাত থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে দলের প্রচার শুরু করেন ওই বিজেপি নেতা। আর গোটা ঘটনায় তাঁর পাশেই ছিলেন বিজেপি প্রার্থী।
এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মলানদিঘির হরিমন্দিরে উপস্থিত প্রায় শ’পাঁচেক গ্রামবাসী। চিৎকার করে বিজেপি নেতা ও প্রার্থীকে মঞ্চ থেকে নামতে বলেন তাঁরা। বিক্ষোভ দেখে হতচকিত হয়ে যান খোদ প্রার্থী। দলীয় কর্মীরা কোনওক্রমে ঘিরে রাখেন তাঁকে। কাঁকসা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
[আরও পড়ুন: বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী হওয়ার জল্পনায় জল ঢাললেন দিলীপ]
এ প্রসঙ্গে মলানদিঘি গ্রামের বাসিন্দা বিধান রুইদাস অভিযোগ জানান, “কীর্তন চলাকালীন গায়কের কাছ থেকে মাইক কেড়ে প্রচারের চেষ্টা করছিলেন প্রার্থী।” তিনি বলেন, “এটা একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। সেখানে একজন প্রার্থীর এই আচরণ কাম্য নয়।” যদিও এই বিক্ষোভের কথা অস্বীকার করেছেন বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি জানান, “কয়েকজন প্রতিবাদ করেছিল। সঙ্গত প্রতিবাদ। তবে শাসকদলের চক্রান্তেই এই ঘটনা ঘটেছে।” এভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আটকানো যাবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷
The post কীর্তন থামিয়ে নির্বাচনী প্রচার, ক্ষোভের মুখে বিজেপি প্রার্থী আলুওয়ালিয়া appeared first on Sangbad Pratidin.