shono
Advertisement

Breaking News

Uluberia

মোবাইলের বিটিএস গেমে 'আসক্তি', বাবার বকুনিতে আত্মঘাতী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী!

মেয়ের আত্মহত্যার পর মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 01:33 PM Jul 23, 2024Updated: 01:36 PM Jul 23, 2024

মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: মোবাইলে বিটিএস গেমের আসক্তি। তার জেরে অভিভাবকরা বকাবকি করেছিলেন। সেই অভিমান থেকে আত্মঘাতী ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী। সোমবার বিকেলে উলুবেড়িয়ায় এই ঘটনার পর মৃত ছাত্রীর মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরা আপাতত হাসপাতালে ভর্তি। খবর পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ।

Advertisement

উলুবেড়িয়া (Uluberia) বীণাপাণি গার্লস হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে মোবাইল ফোনের বিটিএস (BTS) গেমে আসক্তি তৈরি হয় তার। বাবা এবং মা দুজনেই হাই স্কুলের শিক্ষক। স্কুলের সময়টুকু ছাড়া বেশিরভাগ সময় সে বাড়িতে একা থাকত। পড়াশোনার ফাঁকে সবসময়ই মোবাইল ফোনে বিটিএস গেম খেলত।

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাজেটে কীসের দাম বাড়ল? দামি হল কোন পণ্য?]

সেই গেমে আসক্তির জেরে ছাত্রী গত মাসে এক বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে কলকাতার বেলঘরিয়া (Belgharia) থানার পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়। তার পর থেকে আসক্তি কাটাতে ওই ছাত্রীর চিকিৎসা চলছিল। সোমবার বন্ধুর সঙ্গে বিটিএস নিয়ে গোলমাল হয় ওই ছাত্রীর। স্কুল ছুটি পর সে বাড়ি ফিরে এলে বাবা তাকে বকাবকি করেন বলে জানা গিয়েছে। বকা খেয়ে সে অঘটন ঘটিয়ে ফেলে বলে দাবি পরিবারের। জানা যায়, ওই ছাত্রী ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় কাপড় জড়িয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হয়। সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার পর তার বাবা এবং মা দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবাকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছাত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে শুধু পরিবারই নয়, শোকার্ত এলাকাবাসীও।

[আরও পড়ুন: অন্ধ্রের জন্য বিশেষ প্যাকেজ, বিহারের জন্য কল্পতরু, শরিকদের ঝুলি ভরল নির্মলার বাজেটে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মোবাইলে বিটিএস গেমে আসক্তি! বকা খেয়ে আত্মঘাতী উলুবেড়িয়ার ছাত্রী।
  • মেয়ের এই কাণ্ডের পর মা-বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
Advertisement