বাবুল হক, মালদহ: কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনের পর একদিন পেরিয়ে গিয়েছে। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ চাঞ্চল্যকর বক্তব্য রাখল। নয়াবস্তি এলাকায় কোনও গুলিই চলেনি। গতকাল মঙ্গলবার রাতেই এই কথা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। কারণ, ঘটনার পর তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছিলেন, এসারউদ্দিন শেখ ও বকুল শেখের উপর গুলি চালানো হয়েছিল। হাসা শেখের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। পুলিশের বক্তব্যের পর গতকালের দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি তাঁদের শরীরে কোনও গুলি লাগেনি?
গতকাল ওই ঘটনার পরে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দেখা যায়, একজনকে কয়েকজন ঘিরে তাঁকে মাথার দিকে কিছু দিয়ে বারংবার আঘাত করছেন। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা বিচার করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। তাহলে প্রশ্ন উঠেছে, আঘাতের কারণেই কি ওই তৃণমূল নেতা মারা গিয়েছেন? এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য পুলিশ পরিষ্কার করেনি। আজ বুধবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। তারপরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসবে বলে মত পুলিশ আধিকারিকদের। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বকুল শেখ ও এসারউদ্দিন শেখ। তাঁদের কোথায়, কীভাবে আঘাত লেগেছে? সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনার পর থেকেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। গুঞ্জন চলছেও প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলছেন না। এদিন সকাল থেকে পুলিশ কুকুর এলাকায় ঘুরছে। মুর্শিদাবাদ থেকে ওই ডগ স্কোয়াড আনা হয়েছে বলে খবর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও খবর। এখনও অবধি কাউকেই খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
কালিয়াচকের নয়াবস্তি এলাকায় বকুল শেখ, এসারউদ্দিন শেখ ও হাসা শেখের উপর হামলা হয়। তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করা হলেও পরে জানা যায় হাসা শেখ মারা গিয়েছেন। এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তদন্তে নেমে পুলিশের কাছেও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছিল। ঘটনায় জাকির শেখের দিকে আঙুল উঠেছে। জাকির শেখ ও বকুল শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই শত্রুতা ছিল বলে খবর।