সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই পরিবারের কারোর। যদিও পরবর্তীতে তাঁর ভোটার তালিকায় নাম উঠেছিল। কিন্তু এসআইআর (SIR in Bengal) প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ছিল যুবতী। আগামী কাল, মঙ্গলবার রাজ্যে এসআইআরের খসড়া তালিকা প্রকাশ হতে চলেছে। তার আগেই ভয়ে 'আত্মঘাতী' হলেন ওই তরুণী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরে। মৃতার নাম সুবর্ণা গুই সাহা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোড়।
২০০২ এর ভোটার তালিকায় নাম নেই বাপেরবাড়ির পরিবারের কারোর। সেই আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ। ব্যাপক চাঞ্চল্য দুর্গাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হর্ষবর্ধন এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম সুবর্ণা গুই সাহা। পরিবারের সদস্যদের থেকে জানা গিয়েছে, দমদমের নাগেরবাজারে বাড়ি ৩৭ বছর বয়সী সুবর্ণার। বিয়ে হয়েছিল দুর্গাপুরের ৯ নম্বর হর্ষবর্ধনের ডিভিসি কলোনির বাসিন্দা ডিভিসির কর্মী রনজিৎ গুই-এর সঙ্গে। তাঁদের ৭ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। এসআইআর আবহে খসড় তালিকা প্রকাশ নিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, সুবর্ণার বাবা-মায়ের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। যদিও সুবর্ণার নিজের পরিচয়পত্র তৈরি হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের পরে ভোটার তালিকাতেও নাম উঠেছিল। আগামী কাল রাজ্যে এসআইআরের খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে। তালিকায় তাঁর নাম থাকবে তো? অন্য দেশে চলে যেতে হবে নাতো? সেইসব বিষয়ে আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছিল বলে অভিযোগ। এদিন তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতার জামাইবাবু শিবশংকর সাহা বলেন, "নির্বাচন কমিশন যেদিন থেকে এসআইআর লাগু করেছে সেই দিন থেকে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে। ওদের কাছে মৃত্যুর কোন দাম নেই। আমার পরিবারেরও এক সদস্যকে চলে যেতে হল এই কারণে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।" দুর্গাপুরের তৃণমূলের ১ নম্বর ব্লক সভাপতি রাজীব ঘোষ বলেন, "নিরীহ মানুষদের মৃত্যুর কবলে পড়তে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বোঝা উচিত এসআইআরের ফলে বিনা অপরাধে কতজনের প্রাণ বলি দিতে হল।"
