মলয় কুণ্ডু: রাজ্যে কার্যকর হয়েছে ষষ্ঠ বেতন কমিশন (Sixth Pay Commission)। তার পরেও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়াল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, সরকারি কর্মীদের অবসর, সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বেশকিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেই কাজ সমাপ্ত করতেই মেয়াদ বাড়ানো হল কমিশনের। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নভেম্বরে ৬ মাসের জন্য বেতন কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
অর্থ দপ্তরের অধীনে ২০১৫ সালে নভেম্বর মাসের ষষ্ঠ বেতন কমিশন তৈরি করা হয়। কমিশনের চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার। ২০১৯-র সেপ্টেম্বরে নেতাজি ইন্ডোরে সাংগঠিক সভা করেছিলেন সরকারি কর্মীরা। সেই সভায় অর্থাৎ বছর তিনেক আগে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে বর্ধিত বেতন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে রোপা রুল ২০১৯-ও (রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্সেস) জারি করে নবান্ন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চালু হয় নতুন বেতনকাঠামো। অর্থ দপ্তরের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ ১ জুলাই থেকে ফের বাড়িয়ে দেওয়া হল।
[আরও পড়ুন: একাধিক জটিল রহস্যের সমাধান, মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মেডেল পাচ্ছেন এই ধুরন্ধর CID অফিসার]
সরকারি ও সরকারের অধীন থাকা সংস্থার কর্মীদের সার্ভিস ম্যাটার, চাকরির শর্তাবলী, খতিয়ে দেখে বিভিন্ন সংস্কারের সুপারিশ করেন বেতন কমিশনের সদস্যরা। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ক্যাডারে একই পদের বেতনক্রমের মধ্যে সমতা আনার সুপারিশ করে কমিশন। এছাড়াও নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিন্ন পদ্ধতি নেওয়া, একই কাজে যোগ্যতা মান অনুযায়ী নিয়োগের পদ্ধতি যাতে একরকম হয় তা নিশ্চিত করার কথাও সুপারিশে জানিয়েছিল কমিশন। পাশাপাশি, বিভিন্ন দফতরের শূন্যপদ নিয়ে কমিশনের প্রস্তাব ছিল, পদগুলির আদৌ কোনও দরকার রয়েছে কিনা বা অন্য কাজে সেগুলি ব্যবহার করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখার সুপারিশ করে কমিশন।
[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সেন্টারে পুলিশের দাদাগিরি! মহিলাদের ‘মারধর’, তীব্র চাঞ্চল্য বাঁকুড়ায়]
অর্থ দফতর সূত্রে খবর, কমিশন দীর্ঘ ছ’বছর ধরে রাজ্য সরকারের বেতন ও কর্মীদের বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে কমিশন। তাদের সুপারিশের বেতনও বৃদ্ধি করা হয়। যাবতীয় সুপারিশ দেওয়ার মাঝে বারবার বাড়ানো হয় বেতন কমিশনের মেয়াদও। এই নিয়ে ষষ্ঠতমবার বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হল বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এবার কমিশনের শেষ পর্বের কিছু কাজ গুছিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাই ফের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয় হল বলে অর্থ দপ্তর সূত্রে খবর।