সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদহ মেডিক্যাল থেকে বাড়ি ফিরছেন সোনালি বিবি। শনিবার মেয়ে ও নাতিকে নিতে বীরভূম থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন তাঁর বাবা।অ্যাম্বুল্যান্স করে বীরভূমের বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন সোনালি।
শুক্রবার রাতে শাপমুক্তি ঘটে সোনালির। মালদহ সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন সোনালি ও তাঁর নাবালক পুত্র সন্তান। তবে বাড়ি ফিরতে পারেননি। মালদহ মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনালির শরীরে রক্তের পরিমাণ কম রয়েছে। তবে সুস্থই রয়েছেন তিনি। তাঁর নাবালক পুত্রও সুস্থ রয়েছে। তাছাড়া সোনালি অন্তঃসত্ত্বা। মালদহ মেডিক্যালে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। চিকিৎসকরা জানান, তিনি সুস্থ। তারপরই শনিবার সকালে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সোনালি ও তাঁর ছেলে দেশে ফিরলেও এখনও বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন ৪ জন। তার মধ্যে রয়েছে সোনালির স্বামী ও সুইটি বিবির পরিবার। তাঁদের কবে দেশে ফেরানো হবে সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাই কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল দেশে ফেরাতে হবে, সোনালি-সহ পুশব্যাক করা সবাইকে। কিন্তু তা হয়নি। তাঁদেরকেও দ্রুত ফেরানো হোক বলে দাবি তুলেছে পরিবার।
উল্লেখ্য, জুলাই মাসে দিল্লি থেকে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে সোনালি বিবি-সহ ছ’জনকে পাকড়াও করেছিল পুলিশ। এদেশের নাগরিকত্বের বৈধ সব কাগজপত্র সঙ্গে থাকলেও তাঁদের ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ বলে দাগিয়ে ছ’জনকেই বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছিল। সোনালির নাবালক ছেলে-সহ তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তারপর থেকে সেই দেশের জেলেই বন্দি ছিলেন তাঁরা। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। উচ্চ ও শীর্ষ আদালত সোনালিদের ফিরেয়ে আনার নির্দেশ দেয়। তারপরও গড়িমসি করছিল কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযোগ ওঠে। এই আবহে বাংলাদেশ আদালতও মুক্তি দেয় সোনালিদের। তারপর শুক্রবার সোনালিকে দেশে ফেরাল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার বীরভূমের বাড়ি ফিরছেন তিনি।
