নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নিজে তো সাপের কামড় খেয়েইছেন। বিষধর সাপটি আবার কলসি করে এনে ছেড়ে দিয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। রোগীর চিকিৎসা করবেন কী! আতঙ্কে তখনও ছোটাছুটি করছেন সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সরা। একই অবস্থা অন্য রোগীদেরও। শেষপর্যন্ত খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। সাপটি উদ্ধার করেন সর্প বিশারদ দীনবন্ধু বিশ্বাস। তবে রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

[টিভি দেখে নকল করতে গিয়ে প্রাণ গেল ৮ বছরের শিশুর, শোকের ছায়া ইছাপুরে]
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাড়িতেই সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন অভিজিৎ মাল নামে সিউড়ির এক যুবক। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সকালে জলখাবারের জোগাড় করছিলেন তিনি। মুড়ির কৌটোর পাশেই ঘাপটি মেরে বসে ছিল প্রায় দু’ফুট লম্বা একটি গোখরো সাপ। কৌটো থেকে যখন মুড়ি বের করেছিলেন অভিজিৎ, তখন তাঁর পায়ে ছোবল মারে সাপটি। প্রথমে অবশ্য বিষয়টি বুঝতে পারেননি বছর একুশের ওই যুবক। ভেবেছিলেন, ইঁদুরে কামড়েছে। পরিবারের লোকেদের দাবি, ঘটনার কিছুক্ষণ পরই পায়ে জ্বালা করতে শুরু করে অভিজিতের। টর্চ জ্বালিয়ে খোঁজাখুজি করতেই সাপের সন্ধান মেলে। কিন্তু, সাপটি কোন প্রজাতির, তা বুঝতে পারেননি অভিজিতের পরিবারের লোকেরা। তাই শুধু অভিজিৎকে নিয়ে নয়, জ্যান্ত সাপটিকেও কলসি ভরে তাঁরা চলে আসেন সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।
[সার্ভিস রিভলবার পরিষ্কার করতে গিয়ে ছুটল গুলি, মৃত্যু এসআইয়ের]
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জানিয়েছেন, জরুরি বিভাগের চিকিৎসক যখন জানতে চান, কোন সাপে কামড়েছে, তখন ওই বিষধর সাপটি জরুরি বিভাগে ছেড়ে দেন অভিজিৎ। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে শুরু করেন চিকিৎসক, নার্স ও অন্য রোগীরা। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে, সাপটিকে উদ্ধার করেন সর্প বিশারদ দীনবন্ধু বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, রাঢ় বাংলার এই প্রজাতির সাপ খরিশ নামে পরিচিত। প্রাণীটি বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিজিতের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে।
ছবি: বাসুদেব ঘোষ
[কাগজ বিক্রির পাশাপাশি চলেছে পড়াশোনা, মাধ্যমিকে সফল মূক ও বধির কিশোরী]
The post OMG! হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিষধর সাপ ছেড়ে দিলেন রোগী! appeared first on Sangbad Pratidin.