সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: সুবর্ণরেখা নদী তিরবর্তী এলাকায় ছড়াচ্ছে ট্যারান্টুলার আতঙ্ক। ভ্যাপসা গরমে যত্রতত্র বের হচ্ছে বড়, লোমশ মাকড়সাগুলি। এখনও পর্যন্ত কাউকে কামড়ানোর খবর না পাওয়া গেলেও, আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের ঝাটিয়াড়া, দুধিয়াশোল, করকটা, সোনারিমারা-সহ একাধিক গ্রামে মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে আসছে ট্যারান্টুলা মাকড়শা। যদিও বনদপ্তরের বক্তব্য, ঘর ও বাড়ির আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে ট্যারান্টুলার আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বস্তুত, বড় আর লোমশ মাকড়শা মানেই ট্যারান্টুলার ভাবার কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
[ আরও পড়ুন: রাত নামলেই শহরে বাইক বাহিনীর তাণ্ডব, আতঙ্ক বনগাঁয়]
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ২০১৪-১৫ সালে দিকে এলাকায় দু’একটি এই বিষাক্ত মাকড়সা দেখা যেত। কিন্ত গত দু’বছর ধরে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকা বিষাক্ত মাকড়শার উপদ্রব বেড়েছে। আর এখন জেলার সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম, জামবনি, বেলপাহাড়ি, লালগড়-সহ সর্বত্রই দেখা মিলছে ট্যারান্টুলার। ২০১৮ সালের পর ফের গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রাম এলাকায় বেশ কয়েকটি বিষাক্ত মাকড়সার দেখা মিলেছে। এক বছর পর আবার সেই বিষাক্ত মাকড়সা এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই বিষাক্ত মাকড়শা যাতে লোকালয় ঢুকে না পড়ে, তা সুনিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিক বনদপ্তর। আর বন আধিকারিকদের বক্তব্য, জঙ্গলে মাটির নিচে থাকে ট্যারান্টুলার মতো বিষাক্ত মাকড়শা। অতিরিক্ত গরমে সম্ভবত বেরিয়ে আসছে প্রাণীগুলি। কিন্তু মাকড়শা তাড়ানোর কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে, ঘর ও বাড়ি আশেপাশে নোংরা-আর্বজনা জমিয়ে রাখলে চলবে না।
কিন্তু ঝাড়গ্রামে এই ট্যারান্টুলা আসছে কোথা থাকে? বনদপ্তর জানিয়েছে, ওড়িশা থেকে সুবর্ণরেখার নদীর জলে ভেসে আসছে মাকড়শা। ডিএফও বাসবরাজ হোলেইচ্ছি বলেন, “এগুলি মাকড়শারই প্রজাতি। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে এই ধরনের কোনও কিছু মানুষের সংস্পর্শে না আসে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাড়ি এবং বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখুন।”
[আরও পড়ুন: শ্যামপুরের বেহাল কাঠের সেতু নিয়ে রাজনৈতিক তরজায় সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া]
The post নদীর জলে ভেসে আসছে ট্যারান্টুলা! সতর্ক করল বনদপ্তর appeared first on Sangbad Pratidin.
