সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলডাঙায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ধর্মের রাজনীতি করার অভিযোগ ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। তবে সেসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিধায়ক। তাঁর সাফ দাবি, বিএসএফ গুলি চালালেও নির্ধারিত সময়েই বেলডাঙায় মসজিদের শিলান্যাস হবে। তৃণমূলের কথায়, "মসজিদ নির্মাণ স্রেফ অছিলা। চেয়েছিলেন ওনার কথায় দল চলুক। তা হয়নি বলেই এত কথা।"
দলবিরোধী মন্তব্য করে বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তৃণমূলের তরফে তাঁকে একাধিকবার সতর্কও করা হয়েছিল। সম্প্রতি তাঁর বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি সংক্রান্ত মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক উসকে দেয়। তার জেরেই কড়া পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে দল। বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই হুমায়ুনকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেন তিনি। এরপর থেকেই বারবার হুমায়ুন জানিয়েছেন, যাই হয়ে যাক না কেন, বেলডাঙায় মসজিদ হবেই। ৬ নভেম্বর অর্থাৎ আগামিকালই হবে শিলান্যাস হবে। এদিকে বেলডাঙায় অশান্তির আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই ১৯ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এসবের মাঝে শুক্রবার একটি সংবাদমাধ্যমে হুমায়ুন বলেন, "উৎসবের নিরাপত্তা পুলিশের দায়িত্ব। বিএসএফ গুলি করে দিক, শহিদ হব, কিন্তু কাল শিলান্যাস হবেই। আমি যদি ভুল না হই বহরমপুর থেকে পলাশি ৪০ কিলোমিটার সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যাবে।" পাশাপাশি হুমায়ুন জানিয়েছেন, আগামী ১৭ তারিখ বিধায়কপদ ছাড়বেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। মঞ্চ তৈরিতেই ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অতিথিদের জন্য থাকছে শাহি বিরিয়ানি। মোট ৪০ হাজার প্যাকেট বিরিয়ানির বরাত পেয়েছে ৭ টি সংস্থা। এই খাতে ব্যয় হবে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। যদিও বাবরির শিলান্যাস নিয়ে হুমায়ুনের হুঙ্কারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। এবিষয়ে দলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, "বাবরি কোনও বিষয় না। এটা অছিলা মাত্র। আসলে উনি চেয়েছিলেন ওনার কথায় দল চলুক। তা হয়নি বলে ভেবেছেন এসব করে দলকে সায়েস্তা করবেন। কিন্তু তা হবে না। ভরতপুরে আরও বেশি ভোটে জিতবে তৃণমূল।"
