দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দ্বিতীয় বিবাহে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দু বছরের কন্যাসন্তান। তাই দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল যুবতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের জীবনতলা এলাকায়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মহিলা ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ২ কিশোরকে গুলি, ঘটনায় থমথমে কোলিয়ারি এলাকা]
জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে জীবনতলার পিয়ালীর বাসিন্দা রত্না হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় এলাকারই বাসিন্দা ভক্ত হালদারের। ওই দম্পতির ২টি সন্তানও আছে। কিছুদিন আগে অশান্তি শুরু হয় দম্পতির মধ্যে। ক্রমেই তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। অশান্তি চরমে উঠলে কিছুদিন আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যায় রত্না। সেখানেই থাকতে শুরু করে সে। এরপর মেদিনীপুরের বাসিন্দা বাপন ভৌমিক নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় রত্নার। কিছুদিনের কথাবার্তার পরই ওই বধূকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় বাপন। মহিলার একটি সন্তানকে মেনেও নেবে বলে আশ্বাস দেয় ওই যুবক।
এরপর পরিকল্পনামাফিক কন্যাসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাপনের সঙ্গে ঘর ছাড়েন রত্না। বিয়েও করে নেন তারা। কিন্তু এরপরই অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর মহিলার প্রথম পক্ষের সন্তানকে মেনে নেবে না জানিয়ে দেয় বাপন। এরপরই নিজেদের সম্পর্ক ঠিক রাখতে সন্তানকে খুনের ছক কষে বধূ। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ২ বছরের কন্যাসন্তান মহিনী হালদারকে শ্বাসরোধ করে খুন করে রত্না। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বাপনের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা। এরপর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে ঘুটিয়ারী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাপন ও রত্নাকে আটক করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
[আরও পড়ুন: দাঁতালের তাণ্ডবে একাধিক প্রাণহানি, গ্রামবাসীদের দাবি মেনে আলোর ব্যবস্থা প্রশাসনের]
The post প্রথমপক্ষের মেয়েকে মানতে নারাজ দ্বিতীয় স্বামী, সন্তান খুনে অভিযুক্ত মা appeared first on Sangbad Pratidin.
