shono
Advertisement
Toto

টোটো নয়, পথে ঘোরা ৮০ শতাংশই ই-রিকশা! পরিসংখ্যান দেখে তাজ্জব পরিবহণ কর্তারা

পরিবহণ দপ্তরসূত্রে খবর, টোটো বে-আইনি হলেও ই-রিকশা বৈধ।
Published By: Arpan DasPosted: 09:46 PM Dec 13, 2025Updated: 11:49 PM Dec 13, 2025

স্টাফ রিপোর্টার: এতদিন ছিল টোটো। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেল সেগুলো আসলে টোটো নয়, ই-রিকশা। রাজ্যে যে লক্ষ লক্ষ তিন চাকার ব্যাটারিচালিত যান চলে, যেগুলোকে জেলা, গ্রাম, মফঃস্বলে টোটো বলে জানা যায়, সেগুলোর ৮০ শতাংশই নাকি ই-রিকশা। ঘটনায় তাজ্জব পরিবহণ দপ্তরের কর্তারাও। বৈধ এই ই-রিকশা অবশ্য রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই বিক্রি করে দিয়েছেন তার ডিলার প্রস্তুতকারকরা। যা সম্পূর্ণ বে-আইনি। তাই এবার খোঁজ পড়েছে তাঁদের।

Advertisement

শুক্রবার ময়দান টেন্টে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে বৈঠকও হয়। উপস্থিত ছিলেন আরটিও-রাও। পাশাপাশি প্রায় ৭০ জন ই-রিকশার ডিলার উপস্থিত ছিলেন। উত্তরবঙ্গের অনেকে ছিলেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। সেখানেই এই ই-রিকশার প্রস্তুতকারকদের জানানো হয়, তাঁরা যেভাবে এই তিনচাকার যান বিক্রি করেছেন, তা বে-আইনি। কারণ যে কোনও বৈধ গাড়ি বিক্রি করলে ডিলারকেই সরকারের 'বাহন' পোর্টালে তুলতে হয়। কিন্তু তা করেননি তাঁরা। তাই তিনমাসের মধ্যে এই ডিলার এবং ই-রিকশা প্রস্তুতকারক সংস্থাকে তাঁদের বিক্রীত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ফেলতে হবে।

পরিবহণ দপ্তরসূত্রে খবর, টোটো বে-আইনি হলেও ই-রিকশা বৈধ। কেন্দ্রের তরফে ৮টা সংস্থাকে গাড়ির বৈধতা যাচাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট করা আছে। তারাই গাড়ির মডেলের যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখে তা বাজারে আনার ছাড়পত্র দেয়। ফলে এই সংস্থাগুলোও কেন্দ্রের ছাড়পত্র পেয়েই তাদের গাড়ি বিক্রি করেছে। অর্থাৎ যে তিন চাকার যানগুলো আমাদের চতুর্দিকে ঘোরে সেগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশই বৈধ তিন চাকার যান। বাকি ২০ শতাংশ বে-আইনি টোটো হতে পারে। কিন্তু এই বৈধ যানকে এবার আইনি করতে কোমর বেঁধে নামছে সরকার। তাই এই সমস্ত ই-রিকশা প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং ডিলারদের জানানো হয়েছে দ্রুত এই নথিভুক্তিকরণের কাজ শেষ করতে। এই কাজে খরচ পড়বে প্রায় ২৮০০ টাকার মতো।

এদিকে অনেক জায়গাতেই এই ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তাঁরা এই রেজিস্ট্রেশনের জন্য বাড়তি টাকা চাইছেন চালকদের থেকে। এবিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের, কোনওভাবেই বাড়তি টাকা যাতে না নেওয়া হয়। আরটিও, এআরটিও-দেরও বলা হয়েছে এবিষয়ে নজরদারি করার জন্য।

রাজ্যের সব টোটোকে অস্থায়ী এনরোলমেন্ট নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিবহণ দপ্তর। কিউআর কোড দেওয়া স্টিকার লাগানো হবে সব টোটোর গায়ে। তবে টোটো রেজিস্ট্রেশন করাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় চলা বেশিরভাগ যানই ই-রিকশা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • এতদিন ছিল টোটো। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেল সেগুলো আসলে টোটো নয়, ই-রিকশা।
  • রাজ্যে যে লক্ষ লক্ষ তিন চাকার ব্যাটারিচালিত যান চলে।
  • যেগুলোকে আমরা জেলা, গ্রাম, মফঃস্বলে টোটো বলে জানি, সেগুলোর ৮০ শতাংশই নাকি ই-রিকশা।
Advertisement