সুমন করাতি, হুগলি: যুবভারতী-কাণ্ডের পরেই ধৃত শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা বাড়াল পুলিশ। ঘটনার পরেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শতদ্রু দত্তকে। লিওনেল মেসিকে কলকাতায় আনার মূল আয়োজক ছিলেন তিনি। যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এরপরেই শতদ্রুর বাড়ির সামনে রাতারাতি মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশকর্মীকে। এমনকী পুলিশ পিকেটও বসানো হয়। অন্যদিকে ঘটনার আঁচ যাতে কোনওভাবে রিষড়ায় না ছড়াতে পারে সেজন্য থানাতেও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শতদ্রু দত্তের বাড়ি রিষড়ার বাঙুর পার্ক এলাকায়। সকাল থেকে সবকিছু ঠিক থাকলেও দুপুরের পর বদলে যায় ছবিটা। বন্ধ বাড়ির দরজা, জানলা। একেবারে থমথমে একটা পরিবেশ। প্রতিবেশীদের কথায়, আগেও তো অনেককে এনেছিলেন, এবার কেন এমন অবস্থা হল? অন্যদিকে সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে শতদ্রুর বাড়ির সামনে বাড়তে থাকে পুলিশের সংখ্যা। আসে একের পর এক পুলিশের ভ্যান। এমনকী পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
ঘটনার পর থেকে সতর্ক চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটও। কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না আধিকারিকরা। আর তাই শহরের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাতারাতি রিষড়া থানাতেও বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
শতদ্রু দত্তের বাড়ির ছবি।
বলে রাখা প্রয়োজন, ক্রীড়াপ্রেমীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শনিবার শহরে পা রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। শনিবার ঠাসা কর্মসূচি ছিল তাঁর। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবভারতীতে মেসি দর্শনে এসেছিলেন দর্শকরা। কেউ এসেছিলেন পুরুলিয়া থেকে, কেউবা কাঁথি। মেসিভক্তরা এসেছিলেন বেঙ্গালুরু, শিলং থেকেও। এমনকী নেপাল থেকে এসেছিলেন ভক্তরা। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, যুবভারতীতে ঢোকার পর থেকেই মেসিকে ঘিরে ছিলেন ভিআইপিরা। সেই সংখ্যাটা কম করে ১০০ হবে। ফলে গ্যালারি থেকে ২০ মিনিট মেসিকে দেখাই যায়নি।
রিষড়া থানার সামনে বাড়ানো ফোর্সের সংখ্যা।
চড়া দামে টিকিট কেটে মাঠে গিয়েও প্রিয় তারকাকে দেখতে না পেয়ে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে তাঁদের। দর্শকক্ষোভে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে যুবভারতী। ভাঙচুর চালানো হয় স্টেডিয়ামে। ঘটনার পরেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রথমে শতদ্রু দত্তকে আটক করা হয়। পরে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
