অরূপ বসাক, মালবাজার: “জয়ের ব্যাপারে ২০১ শতাংশ নিশ্চিত আমি”, ভোটে প্রচারে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দশরথ তিরকে। প্রার্থীর মন্তব্যে মনোবল পেয়েছে দলের সব স্তরের কর্মীরা।
[ অশক্ত শরীরেও প্রার্থী হতে চান অশীতিপর জলুবাবু]
দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। জোরকদমে চলছে দেওয়াল লিখন, মিটিং মিছিল। নিজের কেন্দ্রে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন সব দলের কর্মীরা। সেই সঙ্গে দলের দোষ-ত্রুটি ঝালিয়ে নিতে কর্মিসভারও আয়োজন করছে দলগুলি। অন্য দলের পাশাপাশি তৃণমূলের তরফেও আয়োজন করা হচ্ছে সভার। চলছে প্রচার। সোমবারও তৃণমূলের তরফে মালবাজারের মেটেলি ব্লকে একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী ছিলেন দশরথ তিরকে, জেলা পরিষদ মেন্টর অমরনাথ ঝা, সংখ্যালঘু সেলের নেতা রেজাউল, তৃণমূল কিষান খেত মজদুরের ব্লক সভাপতি হোসেন হাবিবুল হাসান-সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে ছিলেন স্থানীয় চা-বাগানের শ্রমিক নেতারাও। সভা থেকে জয়ের বিষয়ে দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করেন খোদ প্রার্থী। তিনি বলেন, “জয়ের বিষয়ে ২০১ শতাংশ নিশ্চিত আমি।তবে তার জন্য, মা-মাটি-মানুষের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে প্রতিটি মানুষের কাছে।” সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষও করেন তিনি। কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিজেপি-সহ অন্যান্য বিরোধীদের পরাস্ত করতে একজোট হয়ে লড়তে হবে সবাইকে। তবেই আশানুরূপ ফল করবে দল। সভা শেষে একটি পদযাত্রায় পা মেলান তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
[বিশেষ সক্ষম ভোটারদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা কমিশনের, বীরভূম পিছিয়ে থাকায় ক্ষোভ]
প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবেই জয়ের বিষয়ে আশাবাদী প্রত্যেক প্রার্থীই। একইভাবে আশাবাদী দশরথ তিরকেও। তবে সেখানে কিছুটা ব্যতিক্রম থেকেই গেল। কারণ তার মতো আত্মবিশ্বাস হয়তো দেখাতে পারেননি কেউ। তবে আদৌ মিলবে কি তাঁর অনুমান, তা বোঝা যাবে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই। তবে প্রার্থীর এই মনোবল যে ম্যাজিকের মতো দলীয় কর্মীদের উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
