দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। একটু বেশি আয়ের আশায় ভিনরাজ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শ্বশুর-বউমা। শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চড়ে রওনাও দেন দু’জনে। বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। তবে দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়তে পারেনি তাঁদের। শুধুমাত্র বরাতজোর রক্ষা পেলেন দু’জন। তাঁরা বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শ্বশুর সবদুল মোল্লা এবং পুত্রবধূ পারুল মোল্লা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার লেবুখালি এলাকার বাসিন্দা। দু’জনেই রাজমিস্ত্রির কাজ করতে চেন্নাইয়ে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়মতো শালিমার স্টেশন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চড়েন তাঁরা। সন্ধের পরই বিপত্তি। আচমকা বিকট শব্দ শুনতে পান। প্রায় খেলনা গাড়ির মতো ওলট পালট হয়ে যায় ট্রেন।
[আরও পড়ুন: ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনা: ভিডিও কলে স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা, বাড়ি ফেরা হল না বর্ধমানের সফিকের]
কারও হাত কেটে রক্ত বেরচ্ছে, তো কারও মাথা ফেটে গিয়েছে। অচেতন সকলেই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখেন ৮ নম্বর বগিতে থাকা সকলেই মৃত। শ্বশুর সইদুল মোল্লা একাই পুত্রবধূকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন থেকে টেনে বের করেন। তারপরই অচৈতন্য হয়ে পড়েন। পুত্রবধূ পারুল ফোনে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজনও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সড়কপথে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা। দু’জনকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা। মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছেন দু’জনে। তবে দুর্ঘটনার রাত দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের।
দেখুন ভিডিও: