সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: হেলমেট ছাড়াই বাইকে সওয়ার। প্রাণ দিয়ে মাশুল দিলেন বছর বাইশের এক যুবক। উলুবেড়িয়ায় ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে ওই যুবককে পিষে দিল একটি ট্রাক। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তাঁর এক বন্ধু। কলকাতার হাসপাতালে ভরতি তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
[দুধের শিশুকে আছড়ে মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা মায়ের, কারণ ঘিরে জল্পনা]
নিহত ওই যুবকের নাম অনিমেষ চৌধুরি। বাড়ি হুগলির রিষড়ায়। শনিবার রাতে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে উলুবেড়িয়ার ফতেপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন অনিমেষ। রবিবার সকালে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। বেলতলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটল দুর্ঘটনা। এলাকাটি উলুবেড়িয়া থানার অন্তর্গত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জাতীয় সড়ক ধরে প্রচণ্ড জোরে বাইক চালাচ্ছিলেন অনিমেষ। তিনি বা তাঁর বন্ধু কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। বেলতলায় জাতীয় সড়কের ধারে স্তূপ করে বালি রাখা ছিল। সেই বালিতে বাইকের চাকা পিছলে যায়। বাইক থেকে ছিটকে পড়েন অনিমেষ ও তাঁর বন্ধু। আর ঠিক তখনই উলটো দিক থেকে আসছিল একটি ট্রাক। অনিমেষকে পিষে দিয়ে ট্রাকটি চলে যায়। ঘটনাস্থলে মারা যান বছর বাইশের ওই যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর বন্ধুকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। পরে ওই যুবককে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়।
[আবাসিক ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, গ্রেপ্তার মালিক ও শিক্ষিকা]
এ রাজ্যে দুর্ঘটনা ঠেকাতে আসরে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ স্লোগান তুলে চলছে প্রচারাভিযান। বাইক আরোহীদের হেলমেট পরার অভ্যাস তৈরি করতে চাইছে প্রশাসন। রাস্তায় হেলমেটহীন বাইক আরোহীকে দেখলে জরিমানাও করছে ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে কি? বাইক আরোহীরা কি আদৌও সচেতন হচ্ছেন? উলুবেড়িয়ার দুর্ঘটনা ফের সেই প্রশ্ন তুলে দিল।
[কর্মী আবাসনে নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মালবাজারে চাঞ্চল্য]
