শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থেকে তৃণমূলকে সাহায্য বাম-কংগ্রেসের। স্বৈরাচারীকে ঠেকাতে এই পদক্ষেপ, জানালেন বাম-কংগ্রেস জোট। বোর্ড হাতছাড়া হতেই পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভোটদানে বিরত থেকে তৃণমূলকে বোর্ড গঠন করার সুযোগ করে দিল বাম-কংগ্রেস। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে পুলিশ, অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে তারা।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রম পঞ্চায়েত দখল নিয়ে বুধবার সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা। তৃণমূলই শেষমেশ বোর্ড গঠন করে। সিপিএমের ৩ এবং কংগ্রেসের ১ জন পঞ্চায়েত সদস্য ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত ছিলেন। তার ফলে ১৫ আসন দখল করা তৃণমূল বোর্ড দখল করে। ভোটে ১১টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পদ্মশিবির।
[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ছুটি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের, আগামী একমাস বাড়িতেই থাকবেন পর্যবেক্ষণে]
বিজেপি নেতা তপন রায় জানান, “তৃণমূলের ১৫ এবং বিজেপির ১১ জন ভিতরে ছিলেন। কোতয়ালির আইসি বলেছিলেন আর কোনও লোক ভিতরে নেই। কিন্তু আমরা দেখলাম ভোটাভুটি না করে হঠাৎ ঘোষণা করে দেওয়া হল তৃণমূল বোর্ড গঠন করেছে। আর সেই সময় কোতয়ালির আইসি’র পিছন পিছন সিপিএমের ৩ জন এবং কংগ্রেসের একজন জয়ী সদস্য বাইরে বেরিয়ে আসলেন। আমরা তার জবাব চাই। তাই অবস্থান বিক্ষোভ। রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে।” অপরদিকে ভোটদানে বিরত থাকার কারণ প্রসঙ্গে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী গণেশ ঘোষ জানান, “বিজেপি স্বৈরাচারী শাসক, সে কারণে আমরা বাম-কংগ্রেস জোট ভোটদান থেকে বিরত ছিলাম।”
