চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: বাবুল সুপ্রিয়র বিজয় উৎসবে যোগদানের মাশুল দিতে হল জামুড়িয়ার বাহাদুরপুরের বাসিন্দাদের। প্রতিহিংসার জেরে জলের লাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা টুইটারে পোস্ট করে নিন্দায় সরব হয়েছেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জামুড়িয়ার গ্রামীণ এলাকা।
[আরও পড়ুন: অধিগ্রহণের পালটা জোট অনিচ্ছুক কৃষকদের, গজলডোবার মাঠে শুরু কৃষিকাজ]
রবিবার বিকেলে জামুড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে বিজয় উৎসব আয়োজিত হয় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের উদ্যোগে। দ্বিতীয়বারের বিজয়ী প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় এসেছিলেন জামুড়িয়াবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে। জামুড়িয়া দু’নম্বর ব্লক থেকে বহু মানুষ গিয়েছিলেন এদিনের সভায়। বিশেষ করে বাহাদুরপুর ইসিএল আবাসন এলাকা ও পার্শবর্তী আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা চৌকিবেড়ার মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সভার পর রাতে সবাই বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু ওইরাতে তাঁরা দেখেন সরকারি কলে পানীয় জল আসেনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায় পিএইচইর মূল পাইপ লাইনের সঙ্গে সংযোগ করা গ্রামের পাইপ লাইনটি কেউ বা কারা কেটে দিয়েছেন। ফলে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
জামুড়িয়া বিজেপি দুনম্বর ব্লক (গ্রামীণ) সভাপতি লক্ষণ বাউরির অভিযোগ, “এই কাজের পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের হাত রয়েছে। তারাই এই ধরণের ঘৃণ্য কাজ করতে পারেন। এলাকার সমস্ত মানুষ এখন বিজেপি হয়ে যাওয়া প্রতিশোধ নিতে এই কাজ করা হয়েছে।” দু’নম্বর ব্লকের বিজেপির সদস্য তথা স্থানীয় বাসিন্দা মনোজ মাহাতো বলেন, “কয়েকদিন ধরেই আমরা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র থেকে অন্যান্য কাগজপত্রের কাজ নিয়ে গেলে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত আমাদের নাজেহাল করা হচ্ছে। কারণ ২১১, ২৭৯ ও ২৪০ বিজেপি পেয়েছে ৭০ শতাংশ ভোট। তাই আমরা নিশ্চিত জলের লাইন তৃণমূলই কেটেছে।”
[আরও পড়ুন: ন্যাজাটে তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযোগ দায়ের, এফআইআরে নাম মৃত বিজেপি কর্মীদের!]
জামুড়িয়া তৃণমূল দু’নম্বর ব্লকের কোর কমিটির সদস্য মনোজয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল এ কাজ করে না। ওই কালচারও আমাদের নেই। মন্ত্রী-মেয়রকে নিয়ে রবিবার আসানসোলের আমাদের জনসংযোগ মিছিল ছিল। আমাদের কর্মী সমর্থকরা ওখানেই ব্যস্ত ছিলেন জামুড়িয়ায় কেউ ছিলেন না।” জামুড়িয়ার বিডিও অনুপম চক্রবর্তী জানান জলের লাইন রাতের অন্ধকারে কেউ কেটেছেন তিনি খবর পেয়েছেন। তাতে এলাকায় পানীয় জলসরবরাহের বিঘ্ন ঘটেছে।
