ধীমান রায়, কাটোয়া: কর্মজীবন থেকে অবসরের দিনটি প্রত্যেকের কাছেই রয়ে যায় বিষাদময় দিন হিসাবে। কিন্তু কাটোয়া মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের এক কর্মী ব্রজেন্দ্রনাথ ঘোষ তাঁর অবসরের দিনটি পালন করলেন একটু অন্যভাবে৷ নিজের খরচে তিনি অফিস চত্বরেই আয়োজন করলেন বিভিন্ন লোকশিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ সঙ্গে ভুরিভোজের ব্যবস্থা। আমন্ত্রিত ছিলেন বাউলশিল্পী, লোকশিল্পী থেকে ব্রজেন্দ্রবাবুর সঙ্গে ট্রেনে যাতায়াতকারী নিত্যযাত্রী বন্ধুরা ও অফিসের সহকর্মীরা৷
[ফের সোয়াইন ফ্লু-তে প্রাণহানি, বেলেঘাটার হাসপাতালে মৃত্যু গোঘাটের মহিলার]
কাটোয়া তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন ব্রজেন্দ্রনাথ ঘোষ। বাড়ি কালনার ধাত্রীগ্রামে। এদিন তাঁর অবসরগ্রহণ উপলক্ষে তিনি নিজেই একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের চত্বরে মঞ্চ বেঁধে অনুষ্ঠানটি হয়। বাউলশিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। ঘোড়ানাচ, রাইবেশে, বহুরুপীশিল্পীরাও অংশ নিয়েছিলেন।
[হিমালয়ের কালো ভালুকের পিত্ত পাচারচক্রের পর্দাফাঁস বনদপ্তরের]
ব্রজেন্দ্রনাথবাবু নিজে বাউল গানের ভক্ত। তাঁকে বাউলশিল্পীরা বাউলের পোশাক ও একতারা দিয়ে সম্মানিত করেন। ৫৫ জন প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীকে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তাঁদের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়। ব্রজেন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সুখ-দুঃখ, হাসি কান্না প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই থাকে। তবে দুঃখটা শুধু নিজের জন্য রেখে দেওয়া উচিত৷ আনন্দটা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে হয়।’’
[নতুন সভাধিপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোচবিহারে প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল]
ছবি: জয়ন্ত দাস।
The post কর্মজীবনের শেষ দিনে লোকশিল্পীদের পাত পেড়ে খাওয়ালেন সরকারি কর্মী appeared first on Sangbad Pratidin.
