সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনআরসি ইস্যুতে এবার দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুরু থেকেই বাংলায় এনআরসির পক্ষে রাজ্য বিজেপি। খোদ দিলীপ ঘোষকে একাধিকবার এনআরসির পক্ষে বলতে শোনা গিয়েছে। কিন্তু, এবার এনআরসি নিয়েই অস্বস্তিতে পড়তে হল মেদিনীপুরের সাংসদকে। আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়ায় জনসংযোগে গিয়ে এক বিধবা মহিলার প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়লেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
[আরও পড়ুন: ‘সব জায়গায় গায়ের জোর দেখানো হচ্ছে’, যাদবপুর ইস্যুতে মুখ খুললেন মমতা]
দিলীপ ঘোষ আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়ার পাম্পু বনবসতিতে জনসংযোগে গিয়েছিলেন মঙ্গলবার। সেখানকার এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজনও করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বিজয় শর্মা নামের ওই সমর্থকের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া সেরে ফেরার পথে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। পাম্পু বনবসতিরই বাসিন্দা অনিভা কর নামের এক মহিলা দিলীপ ঘোষের পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়েন। দিলীপকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “পাঁচ মাস আগে আমার স্বামী মারা গিয়েছেন। তাঁর কোনও নথি বা কাগজ আমার কাছে নেই। এবার কি আমাকে, আমার সন্তানদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে?”
ওই মহিলা আরও জানান,”আমার বাড়ি অসমে। ২৬ বছর আগে রাজাভাতখাওয়ায় আমার বিয়ে হয়। মাস ছয়েক আগে আমার স্বামী মারা যান। কিন্তু, আমাদের সব নথি বন্যায় ভেসে গিয়েছে। সবাই বলছে, কাগজপত্র না থাকলে নাকি আমাদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। আমি দিলীপ ঘোষের কাছে স্পষ্ট করে বিষয়টা জানতে চাই।”
[আরও পড়ুন: দরাজ মুখ্যমন্ত্রী, পে কমিশনের সুপারিশ উপচে সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধির ঘোষণা]
মহিলার এই প্রশ্নে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান দিলীপ ঘোষ। যদিও, অস্বস্তি কাটিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত বলেন,”আপনার কাগজপত্রের কোনও প্রয়োজন নেই। আপনি শুধু নিজে থাকলেই হবে। কোনওরকম কোনও অসুবিধা হলে আমাদের জানাবেন।” উল্লেখ্য, শুরুর দিকে এনআরসি নিয়ে জোরাল দাবি জানালেও, গতকালই কিছুটা সুর নরম করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুধু অসমে এনআরসি হয়েছে। বাংলার জন্য এমন কোনও নির্দেশ নেই।
The post ‘আমার সন্তানদের কি তাড়িয়ে দেবেন?’, কাতর স্বরে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন মহিলার appeared first on Sangbad Pratidin.
