অরূপ বসাক, মালবাজার: ডুয়ার্সে ফের হাতির হানা। শুক্রবার ভোরে হাতির হামলায় তছনছ হয়ে গেল একটি স্কুল-সহ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এদিন মালবাজারের ওদলাবাড়ির অদূরে জিটিএ এলাকাভুক্ত ঘিস বনবসতি প্রাথমিক বিদ্যালয়-সহ একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তছনছ করে দেয় একটি হাতি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
[দুধের শিশুকে আক্রমণ কেন? চিতাবাঘের আচরণে চিন্তিত বনদপ্তর]
ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরে কালিম্পং পাহাড় ও জঙ্গলের গা ঘেঁষে রয়েছে ঘিস বসতি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। গ্রামের ৫৫টি পরিবারের ৭৯ জন ছেলেমেয়ে এই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে। শুক্রবার ভোর চারটে নাগাদ একটি হাতি স্কুলে হানা দিয়ে স্কুলের দরজা, জানলা, দেওয়াল ও আসবাব ভেঙে দুই বস্তা মিড-ডে মিলের চাল খেয়ে নেয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুলারাম ছেত্রী, সহ-শিক্ষক শেখর ডার্নাল ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী প্রার্থনা রাই বলেন, গত কয়েকবছর ধরেই এই বিদ্যালয়টিতে হাতির হানা লেগেই রয়েছে। এই নিয়ে গত তিন বছরে দশবার হানা দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বুনো হাতির দল। প্রতিবার তাঁরা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নিকটবর্তী নোয়াম রেঞ্জ ও গরুবাথান ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান।
[কলেজে চিতাবাঘের হানা! ভয়ে কাঁটা পড়ুয়া-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা]
তবুও সমস্যার সুরাহা হয়নি। অবস্থা এমন শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভাঙতে ভাঙতে ৬টি ক্লাসরুমের জায়গায় এখন মাত্র দুটি অবশিষ্ট রয়েছে। বাধ্য হয়েই ক্লাসরুমের ভিতরেই প্রধান শিক্ষকের অফিস চালু রাখতে হচ্ছে। ক্লাস চলছে খোলা মাঠে। অবিলম্বে সমস্যার সমাধান না হলে আগামীদিনে বিদ্যালয় চালু রাখাই মুশকিল হয়ে পড়বে বলে প্রধান শিক্ষক তুলারাম ছেত্রী জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নিকটবর্তী নোয়াম রেঞ্জের বিট অফিসার অশোক বাসুর বলেন, হাতি ছাড়াও ওই এলাকায় বাইসন, চিতাবাঘও দিনেরবেলায় ঘোরাফেরা করে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার খাতিরে বিদ্যালয়ের একটি উঁচু সীমানাপ্রাচীর অত্যন্ত জরুরি।
[লাইন মেরামতির পর ছন্দে ফিরল ডুয়ার্স রুটের ট্রেন চলাচল]
অলঙ্করণ: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়
The post স্কুলের দেওয়াল ভেঙে মিড-ডে মিলের চাল খেয়ে গেল হাতি appeared first on Sangbad Pratidin.
