অরূপ বসাক, মালবাজার: জঙ্গলে ঘেরা লাটাগুড়ি (Lataguri) থেকে হাতেনাতে পাকড়াও ‘জ্যান্ত পেত্নী’। রবিবার রাতে স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে। ভূতের ভয় দেখিয়ে পর্যটকদের থেকে মানুষরূপী ওই ‘পেত্নী’ ছিনতাই করত বলেই অভিযোগ। ভূতবেশী ওই মহিলা কোনও ছিনতাইবাজ চক্রের সঙ্গে জড়িত বলেই মনে করা হচ্ছে।
চুল এলোমেলো, পরনে সাদা শাড়ি, হাতে সাদা রঙের বালা। মাঝেমধ্যেই শোনা যেত লাটাগুড়ির জঙ্গলে এমনই এক ‘পেত্নী’ ঘুরে বেড়ায়। অনেক পর্যটক তো দাবি করেন, তাঁরা নাকি সেই ‘পেত্নী’র (Witch) সাক্ষাতও পেয়েছেন। আবার অতি সাহসীরা যদিও সেকথা মানতে নারাজ। পরিবর্তে ভূত দেখা পর্যটকদের সঙ্গে কার্যত বিবাদে জড়িয়ে পড়তেন তাঁরা। রবিবার রাতে অতি সাহসী পর্যটকদের কথাই যেন একশো শতাংশ মিলে গেল। কারণ, লাটাগুড়ির জঙ্গল থেকে হাতেনাতে পাকড়াও ‘মানুষরূপী পেত্নী’। সেই ‘জ্যান্ত পেত্নী’কে হাতেনাতে ধরে ফেললেন জলপাইগুড়ির এক দম্পতি। রবিবার রাত ন’টা নাগাদ জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা ওই দম্পতি জঙ্গল পেরনোর সময় ‘পেত্নী’ দেখা দেয়। দম্পতির দাবি, ওই মহিলা প্রথমে শাড়ির আঁচল হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়। গাড়ির বনেটের উপর লাফিয়ে বসে সে। মুখ দিয়ে বীভৎস শব্দ করতে থাকে। প্রথমে কার্যত ভয় পেয়ে যান দম্পতি। পরে যদিও সাহস করে গাড়ি থামান তাঁরা। ‘জ্যান্ত ভূত’কে হাতেনাতে ধরে ফেলেন দম্পতি। সেই সময় যদিও ওই মহিলা নিজেকে ভূত বলে দাবি করে বলেই জানান দম্পতি।
[আরও পড়ুন: স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় লুঠের চেষ্টা, পালানোর সময় ডাকাতদলের ছোঁড়া গুলিতে সিউড়িতে জখম ১]
তাঁদের দেখে আস্তে আস্তে বহু গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। গভীর জঙ্গলে জড়ো হন অনেকেই। খবর যায় মেটেলি থানায়। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা নিজের পরিচয় নিয়ে একাধিকবার বয়ান বদল করেছে। ‘জ্যান্ত পেত্নী’ একাই এমন কাণ্ড ঘটাত নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে বড়সড় কোন চক্র জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই মহিলাকে জেরা করে সমস্ত তথ্য সামনে আসবে বলেই আশা তদন্তকারীদের। তবে লাটাগুড়ির মতো জনপ্রিয় পর্যটনস্থলে ‘জ্যান্ত ভূতে’র দাপাদাপি সত্ত্বেও কেন পুলিশ আগেই কোনও ব্যবস্থা আগে নিল না, উঠছে সেই প্রশ্ন।
দেখুন ভিডিও: