শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ‘ডাইনি’ অপবাদ দিয়ে বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের। অসহায় আদিবাসী বধূকে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধেয় উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) রায়গঞ্জের পশ্চিম মনোহরপুরের ঋষিপুর গ্রামের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। বুধবার সন্ধেয় আতঙ্কিত ওই আদিবাসী দম্পতি নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। স্থানীয় মিঠুন হেমব্রম-সহ পাঁচ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত আদিবাসী দম্পতি।
এদিন হামলার শিকার আদিবাসী বধূর অভিযোগ,”দুষ্কৃতীরা যেভাবে বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা ভাঙচুর করে। আমার হাতে, পিঠে আঘাত করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তার পর থেকে আর ঘরে যাওয়ার সাহস আর পাচ্ছি না” আক্রান্তের স্বামীর আরও দাবি,”আমরা পুরোপুরি সুস্থ, অথচ আমাদের জন্য নাকি গ্রামের বিভিন্ন লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দুদিন আগে এক ওঝা এসে আমার বউদিকে বলেছে। তার পর থেকেই জ্যাঠার ছেলেমেয়েরা ও বউদি আমাদের ডাইনি বলে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে। খুন করার চক্রান্ত করছে। এই অবস্থায় নিজের বাড়িতে থাকতেই ভয় করছে।”
[আরও পড়ুন: মাত্র ৬ মাস, বিজেপি আর ক্ষমতায় ফিরবে না, রাহুলকে বললেন সত্যপাল মালিক]
তবে সপ্তমী থেকে ওই গ্রামে বিভিন্ন অসুখে একাধিক বাসিন্দা আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছে। কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটছে। এই আবহে স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের ধারনা, গ্রামে ‘ডাইনি’ এসেছে’। তার জন্যই অসুস্থ হচ্ছে গ্রামের বাসিন্দারা। তারপর দুদিন আগে এক অসুস্থ মহিলার চিকিৎসার জন্য ওঝার আর্বিভাব ঘটে। মূলত তারপরই ঘটনার সূত্রপাত।
মঙ্গলবার সন্ধেয় শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়েবাড়িতে ছিলেন আদিবাসী বধূ। সেইসময় হঠাৎ হুড়মুড় করে তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় বলে আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ঘটনার সময় বধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এদিনই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। রায়গঞ্জের আইসি সৌরভ সেন বলেন,” অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”