সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালুশিল্পে যে বিশ্বে নজির গড়া যায় তা তিনি আগেও দেখিয়েছেন। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েও দেখিয়ে এসেছেন নিজের হাতের কারসাজি। তাজ্জব করেছেন বিশ্ববাসীকে। আর এবার যেন পুরীর সৈকতে দুই সংস্কৃতির মিলন ঘটিয়েই বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেললেন বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক। জগন্নাথধামে, মহাপ্রভুর লীলাক্ষেত্রেই সৈকতের উপর ফুটিয়ে তুললেন বৃহত্তম সান্তার মুখ।
[ শূন্যে ভেসে সৈকত দর্শন, দিঘার আকর্ষণের কেন্দ্রে হট এয়ার বেলুন ]
ক্রিসমাস উপলক্ষে এই সময় পুরীর সৈকতে বহু পর্যটকদের ভিড়। আর তাঁদের সামনেই নিজের এই অনন্য নজির তুলে ধরলেন সুদর্শন। পুরীর সৈকতে এখন দেখা মিলছে বিশ্বের বৃত্তম সান্তার। আদতে ক্রিসমাস পশ্চিমী উৎসব হলেও তা এখন ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ। তবে শীতের মরশুমে আর কোনও সৈকতেই এতবড় সান্তা তৈরি করা হয়নি। ভারতের মাটিতে তা করে দেখালেন সুদর্শন। প্রায় জনা চল্লিশেক সঙ্গীকে নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। কণা কণা বালি জড়ো করে এতবড় শিল্প গড়ে তোলা তো চাট্টিখানি কথা নয়। তবে সুদর্শন তা প্রতিবার করেন অনায়াস দক্ষতায়। আর চমকিত হয় বিশ্ব। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
[ বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শুরু হল পৌষমেলা ]
সান্তা উচ্চতায় প্রায় ২৫ ফুট। চওড়ায় ৫০ ফুট মতো। এর থেকেই সান্তার আয়তন সম্পর্কে আঁচ পাওয়া যেতে পারে। সান্তার সামনে খ্রিস্টের মুখও তৈরি করেছেন সুদর্শন। প্রায় ৬০০ টন বালি লেগেছে এই কাজে। ব্যবহার করেছেন রঙিন বালিও। জানা গিয়েছে, পুরো কাজটি করতে সুদর্শন আর তাঁর সঙ্গীদের সময় লেগেছে তিন দিন মতো। প্রায় সপ্তাহখানেক এই শিল্পকীর্তি দেখতে পারবেন পর্যটকরা। ১ জানুয়ারী পর্যন্ত তা থাকবে। এতবড় সান্তা গড়ে লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের কীর্তি নথিবদ্ধ করলেন সুদর্শন। তবে এ শুধুই শিল্পের জন্য শিল্প নয়।
দুই সংস্কৃতির মিলনের মধ্যেই এর প্রাসঙ্গিকতা আটকে থাকছে না। খ্রিস্টমাসের বার্তা উৎসবের, শান্তির। সেই শান্তির বার্তা বিশ্বাবাসীকে দিতেই সুদর্শনের এই শিল্প। এক জার্মান পর্যটকের হাত ধরে এটির উদ্বোধন হয়। আপাতত বড়দিন উপলক্ষে পুরী বেড়াতে যাওয়া প্রতিটি পর্যটক চাক্ষুষ করছেন এই অনন্য বালুশিল্পের নিদর্শন।
The post পুরীর সৈকতে বৃহত্তম সান্তা, রেকর্ড গড়লেন সুদর্শন appeared first on Sangbad Pratidin.
