সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রেম প্রস্তাবে রাজি হননি বান্ধবী। মেজাজ হারিয়ে বান্ধবীকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা (Attempt to murder) করে যুবক। আর বান্ধবীর মৃত্যু হয়েছে ভেবে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করে সে। পূর্ব বর্ধমানের রায়নার ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দিল। যুবককে গ্রেপ্তার করে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। ধৃতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৯ জুলাই ফের তাকে আদালতের পেশ করতে হবে। আর যুবতীকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে (Burdwan Medical College) ভরতি করা হয়েছে।
ঘটনা পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত রায়না (Raina) থানার শ্যামসুন্দর কলেজের। জানা গিয়েছে, বছর তিনেক ধরে বন্ধুত্ব খালিকুজ্জামান মজুমদার এবং আক্রান্ত যুবতীর মধ্যে। দু’জনেই এই কলেজের পড়ুয়া। বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকলেও মেয়েটিকে নাকি মনে মনে ভালোবাসত ওই যুবক। সম্প্রতি মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছে। সেই খবর জানতে পেরে যুবক মরিয়া হয়ে ওঠে। কলেজেরই একটি ঘরে একা ডেকে নিয়ে গিয়ে যুবতীকে নিজের মনের কথা জানায় খালিকুজ্জমান। কিন্তু প্রেমের আবেদনে সাড়া দেয়নি ওই যুবতী। আর এই প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে পারেনি যুবক। ঘটিয়ে ফেলে ভয়ংকর কাণ্ড।
[আরও পড়ুন: ‘আমি কি ওদের খরচ মেটাচ্ছি?’, শিব সেনার বিধায়কদের ‘আশ্রয়’ নিয়ে পালটা হিমন্ত বিশ্বশর্মার]
প্রচণ্ড রেগে গিয়ে খালিকুজ্জমান মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে। শ্বাসরোধের কারণে মেয়েটি জ্ঞান হারায় এবং তাঁর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। যুবতী মারা গিয়েছে – ভেবে সেখান থেকে সোজা থানায় যায় অভিযুক্ত যুবক খালিকুজ্জমান। সেখানে গিয়ে নিজের দোষ কবুল করে সে (Surrender)। জানায় যে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বান্ধবীকে খুন করেছে। যদিও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, মেয়েটির দেহে প্রাণ রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। মেয়েটির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খালিকুজ্জমানকে গ্রেপ্তার করে শনিবার বর্ধমান আদালতে পাঠিয়েছে রায়না থানার পুলিশ।