সুব্রত বিশ্বাস: উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। কিন্তু তাকে তুচ্ছ করে পাহাড় চড়ার টানে ছুটে গিয়েছিলেন দুর্গম হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। কিন্তু প্রিয় পাহাড়ই হয়ে উঠল সমাধিস্থল। হিমাচলে ট্রেক (Trekking) করতে শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হল কসবার মহিলার। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতেই মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে সকলের। এখন তাঁর নিথর দেহ ফেরার অপেক্ষায় পরিবার।
গত ৫ নভেম্বর স্বামী, সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে একটি টিমের সঙ্গে হিমাচল প্রদেশে গিয়েছিলেন কসবার (Kasba) বেদিয়াডাঙার বাসিন্দা দীপাঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেশায় আয়কর দপ্তরের অফিসার দীপাঞ্জনা প্রতি বছরই তিনি পর্বতাভিযানে যান। এবারও সেই টিম ছিল তাঁর সফরসঙ্গী। এবার স্বামী আর সন্তানও গিয়েছিল দীপাঞ্জনার সঙ্গে। হিমাচলে খানিকটা রাস্তা ট্রেকিং করেছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের মহিলা। শুক্রবার দেরাদুন (Dehradun) থেকে হরকিদুন যাওয়ার পথেই ঘটল দুর্ঘটনা। পাহাড় থেকে নামার পথে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পাহাড়ের কোলেই পড়ে যান তিনি।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য, মন্ত্রী অখিল গিরির তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি জারি তৃণমূলের ]
সঙ্গে চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসার সুযোগ দেননি দীপাঞ্জনা। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হাই প্রেশারের সমস্যা ছিল দীপাঞ্জনাদেবীর। তা উপেক্ষা করেই তিনি পাহাড়ে গিয়েছিলেন, ট্রেকও করেছিলেন। কিন্তু শরীর সম্ভবত সেই ধকল সইতে পারেনি। আর তাই এভাবে জীবনের পথ ছেড়ে চলে যেতে হল তাঁকে।
[আরও পড়ুন: উত্তরে হাওয়ায় রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ, আগামী কয়েকদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?]
ঘনিষ্ঠরা বলছেন, আগেও একাধিকবার দীপাঞ্জনা ট্রেকিংয়ে গিয়েছে। কখনও তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি। তবে কি এবার উচ্চ রক্তচাপ (Blood Pressure) নিয়ে অভিযানে গিয়ে আচমকা হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি? এই প্রশ্ন উঠছে। দীপাঞ্জনার মৃত্যু সংবাদ মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। এখন দেরাদুন থেকে তাঁর দেহ ফেরার অপেক্ষায় পরিবার।