সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত এক সপ্তাহে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় একের পর এক শরণার্থী বোঝাই নৌকা ডুবে অন্তত ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। রাষ্ট্রসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মাত্র তিনদিনে ইতালির দক্ষিণে লিবিয়া উপকূলে তিনটি নৌকা ডুবে যায়। শরণার্থীরা ওই সব নৌকায় চেপে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বেআইনি পথে মানুষ পাচারকারীদের কাছে ওই সময়টাই ছিল ব্যস্ততম সপ্তাহ। অনুকূল আবহাওয়ায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার শরণার্থী সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।
শরণার্থী বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চুক্তির পর তুরস্ক থেকে গ্রিস হয়ে মানুষজনের ইউরোপে প্রবেশের হার অনেকটা কমে গিয়েছে। ফলে শরণার্থীরা এখন আফ্রিকা হয়ে ইতালি উপকূল দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। ইউএনএইচসিআর এর পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য বলছে, বুধবার বেআইনি পাচারকারীদের একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর প্রায় শতাধিক শরণার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়া, লিবিয়ার সাবরাথা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা একটি নৌকা বৃহস্পতিবার সকালে উল্টে গেলে প্রায় ৫৫০ জন শরণার্থী নিখোঁজ হয়ে যান। যাঁদের উদ্ধার করা গিয়েছে সেই সব শরণার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁদের নৌকায় কোনও ইঞ্জিন ছিল না। শরণার্থী বোঝাই অন্য একটি নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁদের নৌকাটি উল্টে যায়। শুক্রবার ডুবে যাওয়া তৃতীয় জাহাজটির ১৩৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, ৪৫টি মৃতদেহও উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
আরেকটি সূত্র জানাচ্ছে, গত তিনদিনে জাহাজডুবিতে নিহতের সংখ্যা ৭০০ নয়, বরং ৯০০ জন। বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাঁদের উদ্ধার করা গিয়েছে সেই সমস্ত শরণার্থীদের ইতালির টরন্টো ও পজ্জাল্লো বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতালি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার লিবিয়া উপকূল থেকে ৬০০ জনেরও বেশি শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে উদ্ধার করা শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার।
The post নৌকাডুবিতে মৃত অন্তত ৭০০ শরণার্থী appeared first on Sangbad Pratidin.