সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার বারবাড়ন্তে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র, রাজ্য ও বেসরকারি হাসপাতালের জন্য কোভিশিল্ডের (Covishield) দাম ধার্য করে দিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। যার দামের তারতম্য নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার ভারতের নিজস্ব করোনা ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের মূল্য ঘোষণা করল ভারত বায়োটেক। আর তাতেই দেখা গেল, এই টিকা কিনতে আরও বেশি খরচ করতে হবে হাসপাতালগুলিকে।
টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক শনিবার জানিয়ে দেয়, সরকারি হাসপাতাল প্রতি ডোজ কোভ্যাক্সিন (Covaxin) কিনতে পারবে ৬০০ টাকার বিনিময়ে। যেখানে বেসরকারি হাসপাতালকে ডোজপিছু খরচ করতে হবে ১২০০ টাকা। অর্থাৎ দ্বিগুণ মূল্যে বেসরকারি হাসপাতালে পাওয়া যাবে করোনা টিকা। দেশকে পর্যাপ্ত টিকা দেওয়ার পর তা রপ্তানিও করা হবে বলে জানায় সংস্থা। সেক্ষেত্রে আনুমানিক ১১২৩ থেকে ১৪৯৮ টাকা মূল্য ধার্য করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মাত্র দু’বছর আগেই বিয়ে হয়েছিল, করোনা প্রাণ কাড়ল ৩০ বছরের তরুণ বাঙালি বিজ্ঞানীর]
দেশজুড়ে টিকাকরণ (Corona Vaccination) অভিযানে ব্যবহার করা হচ্ছে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন। তবে প্রথম দিকে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে বলেও দাবি করা হয়েছিল। ফলে কোভ্যাক্সিনের তুলনায় কোভিশিল্ডেই বেশি ভরসা ছিল আমজনতা। তবে পরবর্তীতে মানুষের ধন্দ দূর করতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় টিকা কোভ্যাক্সিনই নিয়েছিলেন। আর সম্প্রতি ICMR-এর তরফে স্বস্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ব্রিটেন, ব্রাজিল-সহ একাধিক করোনার স্ট্রেনে কার্যকর এই ভ্যাকসিনটি। সেই কারণেই এর দাম চড়া বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহলের একাংশ। একটি বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে বলা হয়, “কেন্দ্রকে আমরা প্রতি ডোজ ১৫০ টাকায় দিয়ে থাকি। যা বিনামূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য ৫০ শতাংশেরও বেশি সঞ্চিত রেখেছি।” এরপরই এর চড়া দাম প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “এই ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত করতে অনেক বেশি অর্থ খরচ হয়েছে। আর এটি অত্যন্ত পরিশুদ্ধ ভ্যাকসিন। সেই কারণেই এই মূল্য ধার্য করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, এর আগে আদর পুনাওয়ালার সেরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ডের দাম ঘোষণা করেছিল। জানানো হয়েছিল, রাজ্য সরকারগুলিকে ৪০০ এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ডোজপিছু ৬০০ টাকা খরচ করতে হবে এই টিকার জন্য। তবে কেন্দ্র কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজ পাবে ১৫০ টাকাতে।