shono
Advertisement
Bihar

পরীক্ষার সময় খাতা দেখায়নি, রাগে গুলি করে সহপাঠীকে খুন দশম শ্রেণির পড়ুয়ার

গুলি লেগে আহত আরও এক পড়ুয়া।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 01:12 PM Feb 21, 2025Updated: 01:12 PM Feb 21, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষার সময় খাতা দেখায়নি। সেই 'অপরাধে' দশম শ্রেণির ছাত্রকে গুলি করে খুন করল সহপাঠী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সাসারামে। গুলি চলার ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক ছাত্র। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৭ ফেব্রয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বিহারের ম্যাট্রিক পরীক্ষা। চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অন্য স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা। সেই পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখানো নিয়েই বিবাদ বাঁধে দুই পড়ুয়ার মধ্যে। গত বুধবার পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্র সাফ জানিয়ে দেয়, উত্তরপত্র দেখাবে না। তার পালটা সুর চড়ায় অন্য একদল ছাত্র। তবে পরীক্ষাকেন্দ্রে আর অশান্তি হয়নি দুপক্ষের মধ্যে।

বুধবার অশান্তি মিটে গেলেও ক্ষোভে ফুঁসছিল অভিযুক্ত ছাত্র। পরের দিন পরীক্ষা শেষে ২০-২৫ জন পরীক্ষার্থী হেঁটেই বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় রাস্তার মধ্যে আচমকা দলবল নিয়ে হাজির হয় অভিযুক্ত ছাত্র। যে সহপাঠী উত্তরপত্র দেখায়নি, তাকে লক্ষ্য করে সটান গুলি চালিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, গুলি লাগে দুই ছাত্রের গায়ে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাদের চিকিৎসা শুরু হয়।

চিকিৎসকরা জানান, আহত ছাত্রদের একজনের পিঠে গুলি লেগেছিল। চিকিৎসা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি। অন্য ছাত্রের হাতে গুলি লেগেছে। তার চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। আহত দুই ছাত্রের বয়স ১৫ এবং ১৭ বছর। এই হত্যাকাণ্ডের জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গুলি চালানো ছাত্রকে আপাতত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাবালক ওই পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু স্কুলপড়ুয়াদের হাতে কী করে বন্দুক এল? প্রশ্ন উঠছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গত ১৭ ফেব্রয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বিহারের ম্যাট্রিক পরীক্ষা। চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
  • বুধবার অশান্তি মিটে গেলেও ক্ষোভে ফুঁসছিল অভিযুক্ত ছাত্র। পরের দিন পরীক্ষা শেষে ২০-২৫ জন পরীক্ষার্থী হেঁটেই বাড়ি ফিরছিল।
  • চিকিৎসকরা জানান, আহত ছাত্রদের একজনের পিঠে গুলি লেগেছিল। চিকিৎসা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
Advertisement