অর্ণব আইচ: শ্রমিক সেজে বড়বাজারে গা ঢাকা দিয়ে বিহারের মাদক-অস্ত্র পাচার চক্রের মাথা। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সঙ্গে যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে তাকে ডেরা থেকে গ্রেপ্তার করল বিহারের সিআইডি। সোমবার তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিহারে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম আহমেদ আলি। অভিযোগ, বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে শুরু করে ওই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আহমেদের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। গত বছর থেকেই বিহারের জেলাগুলিতে অস্ত্র পাচার শুরু করে একটি চক্র। মূলত বিহারের মুঙ্গেরে লেদ কারখানার আড়ালে তৈরি হওয়া অস্ত্র কারখানা থেকে পিস্তল চক্রটি বিহার ও অন্যান্য রাজ্যে পাচার করত। তার সঙ্গে চক্রটি মাদক পাচারের সঙ্গেও যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: আরও জটিল হচ্ছে সতীশ কৌশিকের মৃত্য রহস্য, ব্যবসায়ী বিকাশের স্ত্রীকে ফের তলব দিল্লি পুলিশের]
কয়েক মাস আগে বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে মাদক পাচারের অভিযোগে ধরপাকড় হয়। ওই চক্রটি বিহার হয়ে কলকাতা সহ এই রাজ্যেও গাঁজা, হেরোইন ও অন্যান্য মাদক পাচার করেছে বলে অভিযোগ। মাদক উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে বিহারের পুলিশ বোমা ও বিস্ফোরক উদ্ধারের অভিযোগও তোলে। কিন্তু ওই অস্ত্র ও মাদক চক্রের মাস্টারমাইন্ড আহমেদ আলি বিহারের গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে পালায়। বিহার পুলিশ মজফ্ফরপুর ছাড়াও অন্যান্য জেলায় তল্লাশি চালিয়েও তার সন্ধান মেলেনি।
সম্প্রতি আহমেদের কয়েকজন পরিচিতর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে বিহারের সিআইডি আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, বিহার ছেড়ে কলকাতায় এসে ঘাঁটি তৈরি করেছে আহমেদ। তার ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিহারের সিআইডি। কলকাতা ও বিহারের পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, মধ্য কলকাতার বড়বাজারে গা ঢাকা দিয়েছে সে। অন্যান্য শ্রমিকের ভিড়ে শ্রমিকের ছদ্মবেশেই সে লুকিয়ে রয়েছে একটি বাণিজ্যিক বহুতলে। সেখানেই ভুয়ো নাম নিয়ে কাজ করে চলেছে সে।
[আরও পড়ুন: SSC’র নিয়োগে প্রায় ৩৫০ কোটির দুর্নীতি! শান্তনুর দুই ফোনে ‘সোনার খনি’, আদালতে দাবি ED’র]
রবিবার বিহার থেকে সিআইডির একটি টিম কলকাতায় এসে পৌঁছয়। তার ছবি নিয়ে বড়বাজারের কয়েকটি বাড়িতে যৌথভাবে খোঁজখবর নেন কলকাতা ও বিহারের পুলিশ আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত একটি বাড়িতে মেলে তার সন্ধান। পালানোর আগেই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। এদিন তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে বিহারে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন বিচারক। কলকাতায় আহমেদ আলির অন্য কোনও সঙ্গী রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।