সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে প্রথম দফার ভোট মিটেছে। দিন তিনেক বাদেই দ্বিতীয় দফা। তার আগে নয়া প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। যা কিনা হতে পারে গেম চেঞ্জার। বিহারের বাল্মীকিনগরের এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিলেন, এবারে ক্ষমতায় ফিরলেই জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু করতে চান তিনি। যা আটকে আছে, জনগণনার তথ্য না থাকায়। ২০২১ সালের জনগণনার (Census) তথ্য হাতে এলেই জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে।
গতকাল বাল্মীকিনগরের জনসভায় নীতীশকে বলতে শোনা গিয়েছে, “জনসংখ্যার কথা যদি বলেন, সেটা একমাত্র আদমশুমারির পরই বোঝা যাবে। আর সেনসাসের সিদ্ধান্তটা আমাদের হাতে নয়। আমি চাইব, এবার থেকে সংরক্ষণ হোক জনসংখ্যার ভিত্তিতে। সব বর্ণের মানুষ জনসংখ্যার সমানুপাতে সংরক্ষণ পাক। আর এতে আমার কোনও দ্বিমত নেই।” অর্থাৎ নীতীশের স্পষ্ট ইঙ্গিত, ক্ষমতায় ফিরলেই তিনি জনসংখ্যার ভিত্তিতে সব বর্ণের মানুষের জন্য সংরক্ষণ করতে চান। যা কিনা ভোটের আগে গেমচেঞ্জার হতে পারে। কারণ, বিহারে দলিত, মহাদলিত, কুরমি, মল্লা, যাদবের মতো বহু বর্ণের মানুষের বাস। এদের মধ্যে অনেকেই উপযুক্ত পরিমাণ সংরক্ষণ পায় না, বা আদৌ কোনও সংরক্ষণের আওতায় নেই। এদের সংরক্ষণের আওতায় আনার এই পরোক্ষ প্রতিশ্রুতি শেষবেলায় হাওয়া নীতীশের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। তবে, এই প্রথম নয়, এর আগেও নীতীশ কুমারকে সব সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের দাবি তুলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটের আগে সংরক্ষণের টোপ কেন দিতে হচ্ছে?
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করুক FATF, পুলওয়ামা নিয়ে স্বীকারোক্তির পর দাবি ভারতের]
আসলে, বিহার ভোটের (Bihar Election 2020) আগে সব দিক থেকেই চাপে ছিলেন নীতীশ। একে তো দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার দরুন এক প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া কাজ করছে তার বিরুদ্ধে। তার উপরে আবার তেজস্বী যাদবের ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি আম জনতার মধ্যে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। যে কারণে, বারবার নীতীশকে লালুপ্রসাদ যাদব, তথা তেজস্বী যাদবকে (Tejaswi Yadav) ব্যক্তিগত আক্রমণও করতে হচ্ছে। আসলে বাস্তব পরিস্থিতি যে প্রত্যাশিত ফলাফলের দিকে ইঙ্গিত করছে না, তা হয়তো প্রথম দফার ভোটের পরই বুঝে গিয়েছেন নীতীশ। আর সেকারণেই সম্ভবত শেষ দু’দফার ভোটের আগে সংরক্ষণের তাস খেলছেন তিনি।