অর্ণব আইচ: বিহারের রাস্তার উপর গ্যাংওয়ারে খুন ব্যবসায়ী। খুনের পর সুপারি কিলার গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে আসে কলকাতায়। মধ্য কলকাতার মুচিপাড়ায় ব্যবসায়ী সেজে লুকিয়ে ছিল বিহারের কুখ্যাত অপরাধী সানি কুমার ওরফে সানি যাদব। পাটনার পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে মুচিপাড়ার ব্যানার্জি লেনের গোপন ডেরায় হানা দিয়ে সানিকে গ্রেপ্তার করলেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে বিহারের আগমকুঁয়া থানা এলাকায় ঘটে এই খুনের ঘটনাটি। বাসের মালিক তথা পরিবহণ ব্যবসায়ী কৃপাশঙ্কর সিং পাটনার আদালতে এসেছিলেন। সেখান থেকে বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় পাটনা-মাসোধি রোডে বড়ি পাহাড়ির কাছে তাঁকে অন্য বাইকে এসে ঘিরে ধরে অভিযুক্ত সানি যাদব, তার সঙ্গী শ্যাম, রোশন শর্মা, রামপ্রবেশ মাহাতো, আনন্দ প্রকাশ ওরফে মুখিয়া, সত্যেন্দ্র সিং, মুন্না যাদব ও আরও কয়েকজন। তারা কৃপাশঙ্করের দিকে গুলি চালাতে শুরু করে। তিনটি গুলি কৃপাশঙ্করের শরীরে লাগে। বাকিগুলিতে আরও কয়েকজন আহত হন। কৃপাশঙ্করের বাইকের পিছু নিয়ে আসছিলেন তাঁরই ভাই বীরেন্দ্রকুমার সিং। তিনি দাদার ওই অবস্থা দেখে তাঁকে বাঁচাতে গেলে সানি, শ্যাম ও মুন্না পিস্তল উঁচিয়ে তাঁকে বাধা দেয়। ৯ এমএম বুলেটে আহত কৃপাশঙ্করকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: সুকন্যা গ্রেপ্তার হলে জয় শাহ নয় কেন? অনুব্রতকন্যার পাশে দাঁড়িয়ে বীরভূমে সরব অভিষেক]
অভিযোগ ওঠে, আগমকুঁয়ার বাসস্ট্যান্ডের এজেন্সির দখল নিয়ে গোলমালের জেরেই এই গুলিবৃষ্টি ও খুন। যদিও কৃপাশঙ্করের নামেও ছিল পাটনায় একাধিক অভিযোগ। দীর্ঘদিন জেল থেকে বেরনোর পর বাসস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে বিপরীত সিন্ডিকেটের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে খুনের পর অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। মূল অভিযুক্ত সানি পাটনা থেকে কলকাতায় এসে মুচিপাড়ায় আশ্রয় নেয়। সোমবার রাতে পালানোর আগেই পুলিশ বিহারের এই কুখ্যাত দুষ্কৃতী ও খুনের অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আগমকুঁয়া থানার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ধৃতকে জেরা করে কলকাতায় তার অন্য সঙ্গীরা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে কি না, সেই তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।