সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে বিজেপি-জেডিইউ (JDU) জোট যে সামাজিক সমীকরণের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে থেকে শুরু করেছে, তা সর্বজনবিদিত। কিন্তু শেষদিকে তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav) চমক দেওয়ার সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। তাঁর দেওয়া ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি এবং বেকারত্ব ইস্যু রীতিমতো সাড়া ফেলছে ভোটারদের মনে। আর সেকারণেই শেষ মুহূর্তে লড়াইয়ে ফিরছে তাঁর নেতৃত্বাধীন ইউপিএ (UPA) জোট। অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত মিলছে দুই জনমত সমীক্ষায়।
সমীক্ষক সংস্থা সি-ভোটার দুটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে পৃথকভাবে সমীক্ষা করেছে। টাইমস নাও-সি ভোটার (C-Voter) সমীক্ষা বলছে,বিহারের শাসক শিবির পেতে পারে ১৪৭টি আসন। অন্যদিকে মহাজোট পেতে পারে ৮৭ আসন। কিন্তু দুই শিবিরের মধ্যে ভোটের পার্থক্য মাত্র ৩ শতাংশ। এবং অন্তত ৫৭টি এমন আসন আছে, সেখানে ভোটের ব্যবধান হতে পারে সামান্য। এই ৫৭ আসনে যে কোনও মুহূর্তে খেলা ঘুরে যেতে পারে। আর এই ৫৭ আসনের বেশিরভাগে এই মুহূর্তে এগিয়ে আছে শাসক শিবির।
[আরও পড়ুন: ‘ভগবান থামতে বলছেন’, নাটকীয় টুইটে করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা ঘোষণা ফড়ণবিসের]
এবিপি নিউজ এবং সি-ভোটারের যৌথ সমীক্ষা বলছে, শাসক এনডিএ শিবির (NDA) পেতে পারে ১৩৫-১৫৯ আসন। অন্যদিকে তেজস্বীর নেতৃত্বে মহাজোট পেতে পারে ৭৭-৯৮টি পর্যন্ত আসন। এই সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি-জেডিইউ জোট পেতে পারে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত ভোট। আরজেডি সেখানে ভোট পেতে পারে ৩৫ শতাংশ। যা কিনা গত লোকসভার থেকে অনেকটা বেশি।
[আরও পড়ুন: ‘শুধু বিহার বিনামূল্যে করোনার টিকা পাবে, বাকি রাজ্যগুলো কি পাকিস্তান?’ প্রশ্ন শিব সেনার]
উপরের এই দুটি সমীক্ষাই বলছে, ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত জমি ফিরে পাচ্ছেন তেজস্বী। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পছন্দের তালিকায় নীতীশকে সমানে টক্কর দিচ্ছেন লালুপুত্র। শেষদিকে তাঁর একাধিক জনসভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে নীতীশ কুমারকে দেখা গিয়েছে একাধিক জনসভায় মেজাজ হারাতে। আর তাতেই প্রমাদ গুণছে শাসক শিবির। যদিও সব সমীক্ষাতেই শেষপর্যন্ত বিজেপি-জেডিইউয়েরই জয়ের ইঙ্গিত মিলেছে।