সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের (Bihar) গয়ায় গণধর্ষণের (Gang Rape) শিকার হলেন এক ৩২ বছরের মহিলা। ১৪ জন দুষ্কৃতী মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থায় আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? ওই মহিলাকে অপহরণ করা হয় তাঁর বাড়ির কাছ থেকেই। তাঁকে বাইকে বসিয়ে দুই যুবককে ফল্গু নদীর বুকে তৈরি হওয়া একটি দ্বীপ যেতে দেখেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু অন্ধকার থাকায় তাঁরা তা পরিষ্কার বুঝতে পারেননি। এরপর আরও ৫টি বাইকে ১২ জন যুবককেও সেখানে যেতে দেখা যায়। তখনই টনক নড়ে এলাকার মানুষদের। তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
[আরও পড়ুন: National Monetisation Pipeline: বেসরকারিকরণের পথ আরও প্রশস্ত, নয়া কেন্দ্রীয় নীতির বিরোধিতায় TMC]
খবর পেয়ে পুলিশ ওই দ্বীপে পৌঁছলে তারা দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানে পড়ে আছে ওই মহিলা। তিনি সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুষ্কৃতীদের পোশাক, জুতো উদ্ধার করেছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের সন্ধানে আশপাশের গ্রামে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
নির্যাতিতা মহিলাকে একে একে ১৪ জন দুষ্কৃতী ধর্ষণ করে বলে জানা গিয়েছে। তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁকে নৃশংস ভাবে মারধর করা হয়। তাঁর সারা শরীরে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে গয়ার মগধ মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়েছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে অপেক্ষা রয়েছে মেয়েটির জ্ঞান ফেরার। তাঁর বয়ান পেলে দুষ্কৃতীদের সন্ধান পাওয়া আরও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারী অফিসার ডিএসপি ঘুরান মণ্ডল জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।