নন্দন দত্ত, সিউড়ি: আইনি বিয়ের পরেও সম্পর্ক অস্বীকারের অভিযোগ। অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের কর্মী তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের সদস্য। ওই যুবকের বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের গ্রেপ্তার দাবিতে সরব মৃতার পরিবারের লোকজন।
নিহত সোহিনী সূত্রধর, বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের কর্মী তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের সদস্য। তিনি দুবরাজপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাজারের বাসিন্দা। রবিবার দুপুরে তাঁর বাড়ির দোতলা থেকে সোহিনী সূত্রধরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানার পরই সোহিনীকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে চিকিৎসক জানান মৃত্যু হয়েছে সোহিনীর। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: ‘দিদির দূতেরা এলে গাছে বেঁধে রাখুন’, ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ]
সন্ধেয় সোহিনী সূত্রধরের পরিবারের লোকজন দুবরাজপুর থানায় যায়। অভিনিবেশ রায় নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সোহিনীর পরিবার সূত্রে খবর, অভিনিবেশের সঙ্গে সোহিনীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। আইনি বিয়েও সারেন তাঁরা। তবে সম্প্রতি অভিনিবেশ ও সোহিনীর সম্পর্ক অন্য মোড় নেয়। অভিনিবেশ সম্পর্ক অস্বীকার করতে শুরু করে বলেই অভিযোগ। সোহিনীর পরিবারের আরও দাবি, অভিনিবেশের সঙ্গে একাধিক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
মৃতার বাবা গজানন সূত্রধর জানান, “রবিবার দুপুরে মেয়ে দোতলার ঘরে ঘুমোচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে তাঁর এক বান্ধবী বাড়ি আসে। আমার কাছে সোহিনীর খোঁজ নেয়। দেখা করতে চায়। প্রথমে বলি ও ঘুমোচ্ছে। জোর করায় আমরা দোতলায় যাই। দেখি দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি শুরু হয়। তারপর দরজা ভেঙে দেখি ও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।” মৃতার দিদি অভিনিবেশের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ অভিনিবেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।