নন্দন দত্ত, সিউড়ি: স্কচ পুরস্কারে সন্মানিত হল বীরভূম (Bibhum)। জেলাশাসক বিধান রায়ের হাতে জেলা প্রশাসনের সামাজিক অবদানের জন্য স্কচ গ্রুপের পক্ষ থেকে এই সন্মানজনক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সোমবার। জেলাশাসক বিধান রায় জানালেন, ‘‘এই পুরস্কার আমাদের সকলের মিলিত প্রয়াসের ফল।’’ জেলাবাসীকে এই সন্মান তিনি উৎসর্গ করেন।
করোনাকালে পিছিয়ে পড়া গ্রাম ও পাড়ার প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মুক্ত প্রকৃতিতে শিক্ষা দেওয়া, খেলতে খেলতে, ছড়া বলতে বলতে, পাখির ডাক শুনতে শুনতে প্রকৃতিকে চিনতে চিনতে বন্ধুত্বের মাধ্যমে এই পাঠদানের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। যাতে করোনাকালে পড়াশোনায় যে অনীহা, স্কুল না যাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছিল তা কেটে যায়। লেখাপড়া নিয়ে উদাসীনতা, ভয় না থাকে। পড়া হোক আনন্দদায়ক পরিস্থিতিতে। সে পাঠে শুধু নিরস পঠনপাঠন নয়, নান্দনিক বিষয়ে আগ্রহ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। সেই পাঠ স্কুল সময়ের বাইরে করার পরিকল্পনা করা হয়।
[আরও পড়ুন: রেললাইনের ধারে শৌচকর্ম করতে যাওয়াই কাল, বন্দে ভারতের ধাক্কায় মৃত ছাত্রী]
সেজন্য সকাল সাতটা থেকে নটা পর্যন্ত, আবার বিকেল চারটে থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত শিশু কিশোরদের এই আনন্দপাঠ দিচ্ছেন সেই পাড়ার একজন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাও যাতে এই পাঠে অংশ নিতে পারে, সেটাও বিশেষ লক্ষ্য ছিল এই আনন্দপাঠ শিক্ষায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আনন্দপাঠ কোনও শ্রেণি ভিত্তিক পাঠদান নয়। বৌদ্ধিক ও মানসিক শিক্ষাই মূল লক্ষ্য। সেই স্তরের ভিত্তিতেই সমীক্ষা করে শিশুদের পাঠ দেওয়া চলছে। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, ‘‘এটা বিদ্যালয় ব্যবস্থার বিকল্প নয়। এটা বিদ্যালয় শিক্ষার পরিপূরক। এই আনন্দপাঠে স্কুলে শিশুদের উপস্থিতির হার বেড়েছে। তাদের সক্রিয়তা বেড়েছে।’’