চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে 'হামলা' বিজেপির। তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। নন্দীগ্রামের ২ নম্বর ব্লকে বিরুলিয়া এলাকার ঘটনা। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি জোর করে পার্টি অফিয়ে তালা ঝুলিয়ে বুঝিয়ে দিল এলাকায় গণতন্ত্র থাকবে না।
বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipore) থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ ও রাজ্য পুলিশের যৌথ বাহিনী। সেই ঘটনার রেশ ধরে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির জাবরাভিটায় জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, "ওই দুজন ধরা পড়েছে গদ্দারদের জায়গা থেকে।" তার পরেই মেদিনীপুর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: পুলিশের সঙ্গী ‘অতিথি’, বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে ২ জঙ্গির গ্রেপ্তারিতে বড় ভূমিকা এই পোর্টালের]
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা সাধারণত 'গদ্দার' বলে শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধে থাকেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা 'গদ্দারের জায়গা' বলতে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা। তাঁর সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিরুলিয়া এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিস বন্ধ করে দেয় বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি বলেন, "মেদিনীপুরের মাটি বিপ্লবের মাটি। এখানে বিপ্লবের জন্ম হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় বলছেন গদ্দারের জায়গা। এবার লোকসভায় উনাকে বুঝিয়ে দেব গদ্দার কাকে বলে। ওদের পার্টি অফিসে তালা লাগিয়েছি সব কাজ বন্ধ করার জন্য।"
[আরও পড়ুন:পয়লা বৈশাখে বৃষ্টি ৫ জেলায়, ভিজবে কি কলকাতাও?]
তৃণমূলের ব্লক কমিটির সদস্য পরিতোষ জানা বলেন," যারা গণতন্ত্রের কথা বলে। শান্তির কথা ও বড় বড় কথা বলে । আজকের ঘটনার পর প্রমাণ হয়ে গেছে ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই। আজকে নির্লজ্জের মতো আমাদের পার্টি অফিসে তালা মেরে বোঝাতে চাইছে এখানে গণতন্ত্র থাকবে না। আমারা এর জবাব রাজনৈতিক পদ্ধতিতে দেব"।