গোবিন্দ রায়: ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। বৃহস্পতিবার আদালতে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন তিনি। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, ভোটারদের ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া হয়েছে। গণনাকেন্দ্রে ঢুকে বিজেপি এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে বলেও দাবি পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর। তাঁর আরও দাবি, যাতে কেউ ভোট দিতে না পারেন, তাই বহু জায়গায় ইভিএমে বিজেপির প্রতীক ঢেকে দেওয়া হয়। সে কারণে সিসি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবার। লোকসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রের দিকে স্বাভাবিকভাবেই সকলের বাড়তি নজর ছিল। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিজেপি কাকে প্রার্থী করে, তা নিয়ে জল্পনা কম দানা বাঁধেনি। হাজারও টানাপোড়েনের পর এই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির। অভিজিৎ দাস ওরফে ববিকে প্রার্থী হিসাবে টিকিট দেওয়া হয়। এর আগে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালেও ভোটে লড়েন তিনি।
[আরও পড়ুন: মুছলেন ‘সেনগুপ্ত’ পদবী, মনখারাপের পোস্ট! যিশু-নীলাঞ্জনার সুখের সংসারে ভাঙন?]
তবে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে দাঁত ফোটাতে পারেননি দক্ষ সংগঠক অভিজিৎ। বাংলায় সবুজ ঝড়ে পর্যুদস্ত হন। ৭ লক্ষেরও বেশি ভোটে জেতেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। তিনি ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০০ ভোট পান। তাঁর দাবি, ভোটে কারচুপি হয়েছে বলেই জিতে গিয়েছেন অভিষেক। সে কারণেই ভোট বাতিল এবং পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছেন অভিজিৎ।
উল্লেখ্য, এর আগে ভোট বাতিল এবং পুনর্নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন একাধিক বিজেপি প্রার্থী। কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রার্থী, বসিরহাটের রেখা পাত্র এবং ঘাটালের তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও ভোটে হেরে আদালতের দ্বারস্থ হন। ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেন তাঁরা।