রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মেট্রোর কাজের জেরে বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে শনিবার মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করেছেন কলকাতা পুরসভায় বিজেপির (BJP) তিন কাউন্সিলর ও জেলার নেতারা। আর যে প্যাডে তারা চিঠি দিয়েছেন তা নিয়েই জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (KMC) লোগো দেওয়া ও কর্পোরেশনের ঠিকানা লেখা ওই সরকারি প্যাডে তিন কাউন্সিলরের পাশাপাশি কলকাতা জেলা বিজেপির তিন নেতা সই করেছেন। এই তিন বিজেপি নেতা কীভাবে ওই প্যাডে সই করলেন তা নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন তথা সাংসদ মালা রায় (Mala Roy) বলেন, পুরোটাই বেআইনি ও অসাংবিধানিক। ‘পুরসভা বিজেপি সমিতি’ লেখা ওই প্যাডের উপরের দিকে লেখা রয়েছে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। তার নিচে কলকাতা কর্পোরেশনের ঠিকানাও লেখা রয়েছে। সেই প্যাডের নিচে সই করেছেন তিন কাউন্সিলর সজল ঘোষ (Sajal Ghosh), মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝা। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু, পুরসভার প্রতীক দেওয়া এই প্যাডের নিচে ওই তিন কাউন্সিলরের সঙ্গে সই রয়েছে উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি কল্যান চৌবে (Kalyan Chaubey), সহ-সভাপতি গুলাব সিং ও সাধারণ সম্পাদক তমোঘ্ন ঘোষের।
[আরও পড়ুন: সাসপেনশন উঠছে রীতেশের, বঙ্গ বিজেপির কোন্দল মেটাতে পুরনোদেরও গুরুত্ব দিতে বলছে দিল্লি]
প্রশ্ন, পুরসভার লোগো ও ঠিকানা দেওয়া এই প্যাডে বিজেপি নেতারা সই কীভাবে করলেন? এছাড়াও, বিতর্ক তৈরি হয়েছে এইধরণের প্যাড ছাপানো নিয়েও। কলকাতা পুরবোর্ড তৈরি হয়ে যাওয়ার কয়েক মাস পরেও বিজেপি এখনও ঠিক করতে পারেনি তাদের পরিষদীয় দলনেতা বা মুখ্যসচেতকের নাম। যেহেতু তিনজন কাউন্সিলর তাদের রয়েছে। তাই তারা নামকাওয়াস্তে হলেও প্রধান বিরোধী দল কলকাতা পুরসভায়। কিন্তু সংগঠনের হাল এতটাই খারাপ যে তারা পরিষদীয় নেতা পর্যন্ত এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি।
[আরও পড়ুন: ভাঙা হবে বাড়ি, শেষবেলায় জিনিসপত্র গুছিয়ে ঘর ছাড়ার প্রস্তুতি বউবাজারে বাসিন্দাদের]
পুরসভার চেয়ারপার্সেন মালা রায়ের বক্তব্য, “বিজেপির কে মুখ্যসচেতক, কে বিরোধী দলনেতা তা আমাকে চিঠি দিয়ে জানায়নি। ওদের কেন্দ্র থেকে রাজ্য নেতারা কেউই সংবিধানের ধার ধারে না। গণতন্ত্রকে অপমান করছে। পুরসভার কাউন্সিলররাও সেই পথ অনুসরণ করছে।”