গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: সন্দেশখালির কর্মসূচি বন্ধ করতে হোটেলের গেটে নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। তাঁদের চোখে ধুলো দিয়েই সরস্বতী প্রতিমা হাতে হোটেল থেকে বেরলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ইছামতির পাড়েই শুরু করলেন পুজো। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ সরস্বতী প্রতিমার হাত ভেঙেছে।
আজ অর্থাৎ বুধবার সকালে সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল বিজেপির প্রতিনিধি দলের। তবে মঙ্গলবার গভীর রাতেই সন্দেশখালির ১৯ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বুধবার সকালে টাকির হোটেলে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে বিষয়টি জানান পুলিশ আধিকারিকরা। কর্মসূচি বাতিলের আর্জি জানান। কিন্তু তা মানতে রাজি হননি বিজেপি নেতা। এর পরই হোটেলের গেটে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। প্রথমে প্রতিমা হাতে হোটেল থেকে বেরনোর চেষ্টা করেন ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ বিজেপির নেতারা। তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় বচসা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অব্যাহত সরস্বতী জট! বহিরাগতরা পুজোয় কেন? মামলা হাই কোর্টে]
এসবের মাঝে কার্যত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হোটেলের অন্য গেট দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে বের হন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ইছামতীর পাড়ে প্রতিমা রেখে শুরু হয় পুজো। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম বাগদেবীর আরাধনার সুযোগ দেওয়া হোক। সেই মতো নেতা-নেত্রীরা প্রতিমা নিয়ে বের হচ্ছিলেন। কিন্তু পুলিশ মূর্তি ভেঙেছে। বাংলাদেশে জামাত এরকম করত, এবার বাংলার পুলিশ মায়ের হাত ভেঙে দিয়েছে। এই অন্যায় আমরা মানব না। শাহজাহানের সমর্থনে যে পুলিশেরা রয়েছেন তারাই একাজ করেছেন। বাংলার মানুষ মাফ করবে না।” পুজোর পর বিজেপির প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যাবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার আগেই জানিয়েছিলেন, সন্দেশখালি গিয়ে সরস্বতী পুজো করবেন। বাধা দেওয়া হলে যেখানে আটকাবে পুলিশ সেখানেই পুজো করবেন বলে জানিয়েছিলেন।