রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মতুয়াদের ‘অবহেলা’র অভিযোগে গেরুয়া শিবিরে ফের চূড়ান্ত অস্বস্তি। ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন শান্তনু ঠাকুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বিজেপি সাংসদকে ফোন করেছেন তিনি। মতুয়াদের ‘অবহেলা’ নিয়ে কথা হয়েছে দু’ জনের। তবে ক্ষোভ প্রশমন হল কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছুই জানা যায়নি। মঙ্গলবার সন্ধেয় ঠাকুরবাড়িতে বৈঠক করবেন শান্তনু ঠাকুর। ওই বৈঠকেই কি পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি, সে জল্পনাও ঘুরপাক খাচ্ছে।
গত বছরের শেষের দিকে বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশ হয়। আর সেই তালিকা প্রকাশের পর বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp Group) থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক (MLA)। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়।
[আরও পড়ুন: ২০২২ সালে আর উচ্চারণ করতে পারবেন না! জানেন বাতিল হল কোন কোন শব্দ?]
সেই সময় মতুয়ারা অভিযোগ করেছিলেন,”ভোটের সময় মতুয়াদের ব্যবহার করা হয়। দলের সাংগঠনিক পদে তাদের বসানো হয় না।” অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গায়েন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন, “এখন থেকে মতুয়ারা আর কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না।” বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে সোমবারই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান খোদ সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন তিনি।
শান্তনু ঠাকুরের পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রশমনে আসরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ফোনে কথাও হয়েছে দু’জনের। এর আগে শান্তনু ঠাকুরকে তৃণমূলে আসার প্রস্তাব দেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তারপরই ‘বিদ্রোহ’। তবে কি ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন শান্তনু, সে জল্পনাকেও এড়ানো যাচ্ছে না। মঙ্গলবার সন্ধেয় বনগাঁর ঠাকুরবাড়িতে বৈঠকের পরই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।