সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহল উৎসবে মেলেনি আমন্ত্রণ। তাই বাধ্য হয়ে দর্শকাসনে বসে অনুষ্ঠানে অল্প সময়ের জন্য অংশ নিলেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম (Kunar Hembram)। বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি। রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সাংসদ।
বুধবার সপ্তম বর্ষের জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধন। শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) উৎসবের সূচনা করার কথা। ওই উৎসবে আমন্ত্রণ পেলেন না স্থানীয় সাংসদ কুনার হেমব্রম। তবে তা সত্ত্বেও উৎসবের উদ্বোধনের আগেই অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে আসেন তিনি। দর্শকাসনেই বসেন। সেখান থেকেই উদ্বোধনের আগে অনুষ্ঠানের সামান্য কিছু অংশ দেখেন। মাত্র ৩০ মিনিট পর অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান। তবে তখনও উৎসবের সূচনা হয়নি। স্থানীয় সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও আমন্ত্রণ না পেয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ কুনার হেমব্রম। এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। সাংসদের কথায়, “আমন্ত্রণ জানানো হয়নি আমাকে। ইচ্ছা হয়েছিল তাই এসেছিলাম। সরকার কিংবা রাজ্য সরকার কারও সৌজন্য নেই। এ নিয়ে দুঃখ, রাগ কিছুই নেই।”
[আরও পড়ুন: ‘সরকারি সুবিধা নেব না কেন?’, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বললেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদের ভাই]
রাজ্যজুড়ে একাধিক মেলা, অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে সরকারকে বারবার বিঁধেছেন বিরোধীরা। যদিও সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই বাংলার সরকারের লক্ষ্য বলেই পালটা জবাবে জানানো হয়েছে। তবে তা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করলেন খোদ সাংসদ। তাঁর দাবি, জঙ্গলমহল উৎসবের আয়োজন ঠিকমতো করা হয়নি। সংস্কৃতির নামে রাজ্য সরকার অপসংস্কৃতির প্রচার করছে বলেও অভিযোগ সাংসদের। উন্নয়নের লক্ষ্যে বুধবার পুরুলিয়া থেকে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই কর্মকাণ্ডেরও বিরোধিতায় সরব কুনার হেমব্রম। রাজ্যের যাবতীয় প্রকল্পের উন্নয়ন এবং শিলান্যাস কেন মুখ্যমন্ত্রী করবেন, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ। তাঁর দাবি, উন্নয়নের নামে ঢাক পেটানো হলেও আদতে রাজ্য সরকার বাংলার উন্নয়নে কোনও কাজ করেনি। শুধুমাত্র শিলান্যাস করা হলেও প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন ঘটেনি বলেও দাবি সাংসদের।
দেখুন ভিডিও: